ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সহ সভাপতির মধ্যে মারামারি হয়েছে। আর এতে একজনের কপাল ফেটেছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

মারমারি করা দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির ও শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ। এরা দুইজনই ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের অনুসারী। আহত বিদ্যুৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

জানা যায়, ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন জরুরি কাজে দেশের বাহিরে যাবেন। এ কারণে এদিন মধুর ক্যান্টিনে শোভনের উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। আর এ আলোচনার এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয় মারামারি করা দুই ছাত্রলীগ নেতার মাঝে। পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জহির ইট দিয়ে বিদ্যুৎতের উপর আঘাত করে। আর এতে বিদ্যুৎতের বাম চোখের ওপরে ফেটে যায়।

মারামারির বিষয়ে আহত শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ বলেন, ‘সপ্তাহ খানেক সময় ধরে ওদের সিন্ডিকেটের সাথে আমাদের মতানৈক্য ও বিরোধ চলে আসছিল। আজ মধুর ক্যান্টিনে এসব বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জহির আমার শার্টের কলার চেপে ধরে। তখন আমিও ওর জামার কলার চেপে ধরি। এক পর্যায়ে জহির ইট দিয়ে আঘাত করে আমার কপাল ফাটিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, জহির জামাত-শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আর এসব বিষয় নিয়েই মূলত জহিরের সঙ্গে গত কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জহিরকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে জহির ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের বাসায় আছেন বলে জানান কিছু ছাত্রলীগ নেতা।

ঘটনার বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিবার্তা/রাসেল/জাই