যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর বলেছেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের যে চক্রান্ত তা এখনও শেষ হয়নি। এই চক্রান্ত চলছে। জনগণের ক্ষমতায়নই পারে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। জনগণের সম্মিলিত শক্তি অজেয়।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ, বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলার স্মরণে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন রমনায় এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ১৫ আগস্টে আত্মঘাতী জঙ্গি সাইফুলের ঘটনা এবং বেগম জিয়ার লন্ডন সফর একই সূত্রে গাথা। সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত বিভিন্ন ঘটনা এক সূত্রে গাথা বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের চক্রান্ত ছিলজাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে, বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিলীন করা। বাংলাদেশকে আরেকটা পাকিস্তান বানানো। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যদি ১৯৮১ সালে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে না আসতেন, তাহলে আজ হয়তো এদেশই থাকতো না।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক সমৃদ্ধ রাষ্ট্রবির্নিমাণ করছেন। বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যে ৭১ এবং ৭৫ এর পরাজিত শক্তি আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল, তারাই ৭৫ এর ১৫ আগস্টের অপশক্তির দোসর। আর এদের মদদদাতা হলো বিএনপি। বিএনপি সব সময় ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তায় তারা এখন আত্মঘাতী মাঠে নামিয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিশ্চয়ই এদেশের মানুষ এষড়যন্ত্রও রুখে দেবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতের চাদর দিয়ে যদি শেখ হাসিনাকে রক্ষা না করতেন তাহলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হত না।
তিনি বলেন, তারেক রহমান হাওয়া ভবন খুলেছে। কিন্তু তার বাপের হত্যার বিচারের জন্য কোনোপদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি জিয়াউর রহমান যেখানে নিহত হয়েছিলেন সেখানে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়ও করতে কোনোদিন যাননি।
তিনি আরো বলেন, মেঘে মেঘে বেলা অনেক কেটে গেছে। রাজনীতি করতে গেলে ধাক্কাধাক্কি, ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, হুমকি-ধামকি এমন ঘটনা তৃতীয় বিশ্বের মতোদেশে হয়েই থাকে। কিন্তু ২১ আগস্টের মতোজঘণ্য ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড কখনোই কাম্য নয়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য, শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, শাহজাহান ভূঁইয়া মাখন, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক, মহিউদ্দীন আহমেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহা. বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, রওশন জামির রানা, এন.আই. আহমেদ সৈকত, মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, এবং দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দীন রান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।
বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/তাওহীদ/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]