শিরোনাম
নারীর একাকী ভ্রমণে নিরাপদ ১০ শহর
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০১৬, ১১:২৪
নারীর একাকী ভ্রমণে নিরাপদ ১০ শহর
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ইচ্ছে হলেই নারী একা ভ্রমণে বেরুতে পারেন না। কারণ বিষয়টি তাদের জন্য অনেকক্ষেত্রে ভয়াবহ বিপদজনক হতে পারে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে আমরা প্রায়ই নারী পর্যটকদের যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার খবর জানতে পারি। শুধু শারীরিক নির্যাতনই যে একজন নারীর একা ভ্রমণকে বিপদজনক করে তুলেছে, তা নয়।


কোথাও কোথাও অন্য পর্যটকদের তুলনায় নিঃসঙ্গ পর্যটকদের কাছ থেকে বেশি টাকা বাগিয়ে নেয়া, ছিনতাই এবং হোটেল কক্ষ চুরির মতো ঘটনা ঘটে থাকে। একা ভ্রমণকারী এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হন বেশি।


পৃথিবীতে এমন অনেক স্থানই আছে যেখানে নারীর একা সফর কোনভাবেই নিরাপদ নয়। আপনি রাতে একা একা হাঁটবেন? সাথে কি একজন পর্যটন গাইড থাকবে? আপনার কি বন্ধুরা বা পরিবারের সদস্যরা সেখানে আছে যারা প্রয়োজনের সময় আপনাকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন?


আমরা পৃথিবীর এরকম ১০টি শহরকে আপনার সামনে তুলে ধরছি, যা নারীদের একা ভ্রমণের জন্য নিরাপদ হতে পারে। শহরগুলো বাছাই করার ক্ষেত্রে সেই নির্দিষ্ট দেশগুলোতে নারীদের প্রতি সংগঠিত অপরাধের পরিসংখ্যানের পাশাপাশি নারী অধিকার এবং তাঁদের পারিশ্রমিক বিবেচনায় রাখা হয়েছে।


আপনি যদি একজন নারী হোন এবং একা ভ্রমণ করতে চান, তবে নিম্নে বর্ণিত নারীবান্ধব শহরগুলো আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। চলুন ধারণা নেই সেসব শহর সম্পর্কে:


কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক: কোপেনহেগেন হচ্ছে ডেনমার্কের রাজধানী এবং দেশটির সর্ববৃহৎ শহর। দেশটির লোকসংখ্যা প্রায় দুই মিলিয়ন বা বিশ লাখ।



অটোয়া, কানাডা: কানাডার রাজধানী শহরটি অন্টোরিও প্রদেশে অবস্থিত হলেও তা কুইবেক প্রদেশের সীমান্তবর্তী। বহুমাত্রিক সংস্কৃতির শহর অটোয়ার রাস্তায় হাঁটার সময় আপনি ফ্রেঞ্চ এবং ইংলিশ ভাষা শুনতে পাবেন।


অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড: নিউজিল্যান্ডের সর্ববৃহৎ শহরটিতে ১৪ লাখ মানুষের বসবাস। নৌবন্দরগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ইয়ট বা প্রমোদ তরী থাকার কারণে শহরটি ‘নৌকার শহর’ নামে পরিচিত।


হেলসিংকি, ফিনল্যান্ড: দেশটির রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর হেলসিংকি, যার লোকসংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। অসাধারণ ও আশ্চর্য রকমের স্থাপত্য শৈলীর কারণে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব সোসাইটিজ অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনের কাছ থেকে ২০১২ সালে শহরটি ওয়ার্ল্ড ডিজাইন ক্যাপিটাল বা ‘বিশ্ব নকশা রাজধানী’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।


হিলো, হাওয়াই, যুক্তরাষ্ট্র: আমেরিকাতে নারীদের জন্য নিরাপদ বহু শহর রয়েছে, কিন্তু নিরাপদ ভ্রমনের জন্য সবচেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে হাওয়াই। হিলো হচ্ছে হাওয়াই এর সবচেয়ে বড় দ্বীপ।


পার্থ, অস্ট্রেলিয়া: পৃথিবীর যেকোন সমুদ্র সৈকতকে হারিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সৈকতগুলোর। পার্থ শহরের সৈকতগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী শহরটিতে ১৮ লক্ষের বেশি লোকের বসবাস।


অসলো, নরওয়ে: নারীর সমতায়নের ক্ষেত্রে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর অবস্থান প্রতিবছরই সেরা দশে থাকে। ঘুরাঘুরির জন্য নরওয়ে একটি সুন্দর দেশ এবং অসলো হচ্ছে দেশটির রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর।


সেতুবাল, পর্তুগাল: ব্যক্তিগত ও আরামদায়ক ছুটি কাটানোর জন্য সেতুবালে যাওয়া উচিত। সামুদ্রিক তাজা মাছ ও সুস্বাদু ওয়াইনের জন্য এখানে আসতেই হবে।


মালমো, সুইডেন: আকর্ষণীয় মানুষ ও সংস্কৃতির জন্য সুইডেন সারাবিশ্বে পরিচিত। মালমো হচ্ছে সুইডেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর এবং দেশটির দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। একটি প্রাণবন্ত ছুটি কাটানোর জন্য শহরটি আদর্শ স্থান।


মার্সেই, ফ্রান্স: ব্যতিক্রমধর্মী সফরের জন্য অভিজাত মার্সেইকে বেছে নেয়া উচিত। ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ। ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটিতে জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com