শিরোনাম
দেশের ভেতরে কম খরচে ভ্রমণ টিপস
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৭, ০৯:০২
দেশের ভেতরে কম খরচে ভ্রমণ টিপস
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

নিজের এলাকা ঘুরে ফেললেন, বন্ধুদের সাথে ঘুরে আসলেন; কিন্তু এরপরে যে অন্য জায়গায় ভ্রমণে যাবেন, আপনি ডিসকাউন্ট পেলেন না বা স্পন্সরও পেলেন না! তাহলে কী করবেন? ভ্রমণে যাবেন না? অবশ্যই যাবেন! এতদিনে নিশ্চয়ই জেনে গিয়েছেন ডিসকাউন্ট না পেলেও আপনি কতভাবে খরচ কমাতে পারেন! তারপরও এরকবার একটু আমরা জেনে নেবো:


সঠিক সময়ে সঠিক জায়গা ভ্রমণ করুন: দুইভাবে আপনি সময় বেছে নিতে পারেন- ট্যুরিস্ট সিজন এবং অফ-সিজন। ট্যুরিস্ট সিজনে গেলে আপনি একভাবে হিসাব করতে হবে, অফ-সিজনে একটু অন্যভাবে হিসাব করতে হবে। ট্যুরিস্ট সিজনে সাধারণত প্যাকেজ ডিলগুলো পাবেন আপনি যেখানে একইসাথে থাকা খাওয়ার খরচসহ একটা ডিসকাউন্ট অফার থাকবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো স্ট্র্যাটেজি থাকে শুধুমাত্র তাদের কাস্টমার বাড়ানো, তবে মনে রাখবেন ট্যুরিস্ট সিজনে কিন্তু তাদের কাস্টমারের অভাব হয় না। তাই এরকমের অফারগুলোর ডিসকাউন্ট একটা লিমিট পর্যন্তই থাকে। অফ-সিজনের প্যাকেজগুলোতেও স্ট্র্যাটেজি থাকে কাস্টমারদের আকৃষ্ট করা, তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন কাস্টমারের কিন্তু অভাব থাকে; তাই প্যাকেজগুলোর অফার লিমিটও থাকে কম, তারা চেষ্টা করে যেকোন উপায়ে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে। এখন আপনি নিজেই বেছে নিন যে আপনি ট্যুরিস্ট সিজনে যাবেন নাকি অফ-সিজনে যাবেন!


যানবাহন খরচ কমান: যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন লোকাল ট্রেন অথবা বাস। যদি আপনার সমস্যা না হয় তাহলে এসি এর জায়গায় নন-এসি যানবাহন বেছে নিতে পারেন। এভাবে একটু একটু করে যানবাহনের খরচ কমিয়ে আনতে পারেন।


রাতে যাতায়াত করুন: রাতে যাতায়াত করলে আপনি ভ্রমণের জন্য একটা দিন বেশি পাবেন এবং এক রাতের হোটেল খরচও কম লাগবে। এমনকী ভ্রমণের মাঝখানের জার্নিগুলোও যদি লম্বা হয় (৪-৮ঘন্টা) সেক্ষেত্রে রাতে যাতায়াতের চেষ্টা করুন। এখানেও হোটেল ভাড়া বেঁচে যাবে একরাতের!


সরকারি গেস্ট হাউজ বেছে নিন থাকার জন্য: এর আগেও বলেছি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রয়েছে সরকারি ডাকবাংলো, গেস্ট হাউজ, রেস্ট হাউজ, সার্কিট হাউজ এবং আরো বিভিন্ন রকমের সরকারি থাকার সুবিধা। সম্ভব হলে এরকম জায়গাগুলোকে বেছে নিন থাকার জায়গা হিসেবে। পরিবেশও ভালো পাবেন এবং থাকা-খাওয়ার খরচও অবিশ্বাস্য রকমের কম!


স্থানীয় খাবার ও কেনাকাটা: এই কথাও আগেই বলেছি কোথাও গেলে আপনাকে স্থানীয়দের মতই আচরণ করতে হবে। এতে আপনি ভ্রমণের আসল উদ্দেশ্য বৈচিত্র্যও যেমন পাবেন, খরচটাও কম হবে। প্রতিদিনের খাবারের জন্য বেছে নিতে পারেন স্থানীয় কোন খাবার হোটেল এবং কেনাকাটাও সেরে নিতে পারেন স্থানীয় বাজারেই।


রুম সার্ভিস ব্যবহার যতটা পারুন কম করুন: আপনি হোটেলে থাকলে হোটেলের ডাইনিংয়ে গিয়ে নিজেই খেয়ে আসুন, রুম সার্ভিসকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এতে বাড়তি খরচ, বকশিশ দেয়া থেকে বেচে যাবেন। তবে একদমই যে বকশিশ দেবেন না তা কিন্তু নয়! নিজের কাপড় লন্ড্রীর কাজও সম্ভব হলে নিজেই করুন। কারণ বেশিরভাগ হোটেলেই লন্ড্রীর কাজের জন্য আলাদা বাড়তি টাকা দিতে হয়।


শীতের রাতে ক্যাম্পফায়ার করুন: যদি আপনার ভ্রমণের সময়টি হয় শীতকাল সেক্ষেত্রে বন্ধুরা মিলে রাতে বাইরে কোথাও ক্যাম্পফায়ার ও বারবিকিউ’র আয়োজন করতে পারেন। এটি এখন বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় একটি আড্ডা! এতে আপনার রাতে হোটেলে থাকার খরচ তো বাঁচবেই, খাওয়ার খরচও বেঁচে যাবে, আর আনন্দটাতো উপরি পাওনা! আপনি চিন্তা করতেই পারেন যে এগুলতেও তো খরচ লাগে! অবশ্যই লাগে! কিন্তু আপনার হোটেল খরচ এর চেয়ে বেশি নয় অবশ্যই!


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com