শিরোনাম
ঘুরে আসুন হিমছড়ি
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৮:০৫
ঘুরে আসুন হিমছড়ি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর পর্যটকদের মুখে উচ্চারিত হয় হিমছড়ির নাম। হিমছড়িতে রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র ও ঝর্ণার অপূর্ব মিলন মেলা। যা সমুদ্র পিপাসুদের বিমোহিত করে। হিমছড়িকে ঘিরে প্রতিনিয়ত সমাগম ঘটে দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের।


এখানে বেশ কয়েকটি ছোট-বড় পাহাড়ি ঝর্ণা রয়েছে। এসব ঝর্ণার পানিপ্রবাহ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। সিঁড়ি বেয়ে উঁচু পাহাড়ে উঠে সাগর, পাহাড় ও কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন নৈসর্গিক সৌন্দর্য খুব সহজেই অবলোকন করা যায়।


কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে হিমছড়ি সমুদ্র সৈকত। আর এ হিমছড়িতেই রয়েছে দেশের একমাত্র শীতল পানির ঝরনা। এক পাশে পাহাড় অন্য পাশে বিস্তীর্ণ সমুদ্রসৈকত, মাঝে মেরিন ড্রাইভ সড়কটিকে মনে হয় কল্পলোকের কোন রাস্তা। কক্সবাজারে এসে মেরিন ড্রাইভ সড়কে না গেলে এখানে বেড়াতে আসাটাই অপূর্ণ থেকে যায়।



হিমছড়ি সৈকতটাও বেশ সুন্দর, কোন কোলাহোল নেই। ছিমছাম, শান্ত নীরব ও সুনসান পরিবেশের এ রকম সৈকত আমদের দেশে আর নেই। সৈকতের আশেপাশেই আছে ছোট বড় বেশ কয়েকটি ঝরনা। এছাড়া হিমছড়িতে একটি জাতীয় উদ্যানও রয়েছে।


১৭২৯ হেক্টর আয়তনের বনের ভিতরের পরিবেশও বেশ চমৎকার। শীতল পানির ঝরনা হিমছড়ি পাহাড়ের উপরে রয়েছে বেশ কিছু বিশ্রামাগার। এখান থেকে পুরো সৈকতটা দেখা যায়। হিমছড়ি পাহাড়রের শীতল পানির ঝরনাটা অসাধারণ। বর্ষাকালে এই ঝরনার প্রকৃত রুপ দেখা যায় সম্পূর্ণভাবে। তাই এখনই এই ঝরনার প্রকৃত রুপ দেখতে যাওয়ার মোক্ষম সময়।


কীভাবে যাবেন: কক্সবাজার শহর থেকে জিপ গাড়িতে চড়ে হিমছড়িতে যাওয়া যায়। হিমছড়ির উদ্দেশে কক্সবাজার সৈকত থেকে সব সময়ই গাড়ি ছেড়ে যায়। এছাড়া আপনি চাইলে রিক্সা বা অটোরিক্সাতেও হিমছড়ি যেতে পারেন।


কোথায় থাকবেন: কক্সবাজারকে বলা হয় আবাসিক হোটেলের শহর। তাই কক্সবাজার শহরের যেকোন হোটেলে রাত যাপন করা যায়।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com