শিরোনাম
বিজয়ের মাসে ঘুরে আসুন জাতীয় স্মৃতিসৌধ
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:০৫
বিজয়ের মাসে ঘুরে আসুন জাতীয় স্মৃতিসৌধ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি স্মারক স্থাপনা। এই স্মৃতিসৌধ বাঙালির অস্তিত্ব আর জাতীয়তাবোধের প্রতীক। তাই এই বিজয়ের মাসে ঘুরে আসতে পারেন দেশের স্মৃতিময় স্থান জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে।


ঢাকার অদূরে সাভার থানার অন্তর্গত নবীনগর এলাকায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।


প্রকৌশলী মইনুল হোসেনের নকশা মোতাবেক ১৯৮২ সালের আগষ্ট মাসে স্মৃতিসৌধের কাজ শুরু হয়। প্রায় ৮৪ একর জমির উপর স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে। স্মৃতিসৌধে ৭টি কংক্রিট নির্মিত ত্রিভুজাকৃতির স্তম্ভ রয়েছে। প্রথম দর্শনে সর্বোচ্চ স্তম্ভটির উচ্চতা ১৫০ ফুট। এই স্তম্ভগুলোর মধ্যে প্রথমটি উচ্চতায় ছোট হলেও প্রস্থে সবচেয়ে বড়। এটির অর্থ আন্দোলনের সূচনা অর্থাৎ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।



পরবর্তী স্তম্ভগুলো দ্বারা যথাক্রমে ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯ এবং ১৯৭১ সাল কে বুঝানো হয়েছে। এই স্মৃতি সৌধের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো একেক দিক থেকে একেক রকম মনে হয়।


স্মৃতিসৌধের সীমানা প্রাচীরের ভেতর রয়েছে প্রশস্ত ইটের পাকা রাস্তা, রাস্তার দুপাশে নানা জাতের ফুলের গাছ, কৃত্রিম জলাশয়, উন্মুক্ত মঞ্চ, আলাদা করে ফুলের বাগান, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, হেলিপ্যাড, মসজিদ, রেস্তোরা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা গাড়ির পার্কিং -এর ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের সমন্বয়ে রয়েছে আলাদা বাগান।


সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। বিশেষ দিন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ, পূজা ও ১লা বৈশাখে ব্যাপক ভিড় হয় এখানে। মতিঝিল ও গুলিস্তান থেকে বিআরটিসি, হানিফ ও গ্রীনওয়ে বাস সার্ভিস সরাসরি নবীনগর পর্যন্ত যাতায়াত করে।


বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com