
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, লেখাপড়া করে চাকরি খুঁজতে যায় আমাদের তরুণরা। আমি বরাবরই বলে আসছি, এটি একটি ভুল পদ্ধতি। মানুষ চাকরিপ্রার্থী হওয়ার জন্য জন্ম নেয় না। চাকরি জিনিসটাই একটি ভুল ধারণা।
শনিবার (২৯ মার্চ) বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, মানুষ হলো সৃজনশীল। তারা সৃজনশীল কাজ করতেই পছন্দ করেন। চাকরি সৃজনশীলতাকে অস্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, চাকরি আপনাকে সেই কাজ করতে বাধ্য করে যেটি আপনার সুপারভাইজার চায়। চাকরি এক ধরনের প্রথাগত দাসত্ব। মানুষ কোনোভাবেই দাসত্বের উপযোগী না, তারা স্বাধীন। তাদের এই ধারণার প্রচার করা উচিত, মানুষ উদ্যোক্তা হয়েই জন্ম নেয়, চাকরি প্রার্থী নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করা উচিত মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের এমনভাবে প্রস্তুত করা উচিত, তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যেন সফল উদ্যোক্তা হয়, চাকরি প্রার্থী নয়। এই ধারণা একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে এসেছে।
তিনি বলেন, আমি যেখানে পড়াতাম সেখানের কাছেই কিছু গ্রামীণ নারীদের মাধ্যমে আমি একটি ক্ষুদ্র উদ্যোগ নেই। আমি ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া শুরু করলাম শুধু এই মনে করে যে, সে যেন এই অর্থ কাজে লাগিয়ে তার জীবন বদলাতে পারে। আমি তখন জানতাম না, এই উদ্যোগ কাজে আসবে কিনা। কিন্তু দেখা গেলো তাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয়ে গেলো এবং তারা বরাবরই এই কাজের মধ্যে সচল হয়ে গেল। এভাবে লাখো নারীর অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিজ্ঞাপন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই উদাহরণ আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে, সব মানুষই উদ্যোক্তা। আমাদের বইয়ে শেখানো হয়, বিশেষ কিছু মানুষ উদ্যোক্তা হয়ে জন্ম নেয়। বাকিদের তাদের অধীনে কাজ করতে হয়। আমি বললাম যে এটি একেবারেই ভুল ধারণা। ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে যদি বাংলাদেশের অতি দরিদ্র অশিক্ষিত নারীরা উদ্যোক্তা হতে পারে, তবে যে কেউ উদ্যোক্তা হতে পারে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]