
ভারত শাসিত কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এনিয়ে টানা সাত রাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও গতকাল রাতের ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এনডিটিভি বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী টানা সাত রাত ধরে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরের কুপওয়ারা, উরি ও আখনূর সেক্টরে “বিনা উসকানিতে” ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীও পাল্টা জবাব দিয়েছে, তবে পরিমিতভাবে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে পাকিস্তান সেনারা আন্তর্জাতিক সীমান্তেও গুলিবর্ষণ শুরু করে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
এই গোলাগুলির ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রথমবার কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]