রাজধানীর বিমানবন্দরের গোলচত্বর এলাকায় পুলিশ বক্সের পাশে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার ময়ন্তাতদন্ত শুরু হয়। পৌনে ১২টায় দিকে ময়না তদন্ত শেষ হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ উপস্থিত সংবাদিকদের জানান, নিহত ব্যক্তির দেহেই বোমা বাঁধা ছিল। তার পিট থেকে কস্টেপ ও কাঠের টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। এটা কস্টেপ দিয়ে বাঁধা ছিল। এছাড়া হাত তার দিয়ে বাঁধা ছিল।

তিনি জানান, নিহত ব্যক্তি বোমা বিস্ফোরণেই মারা গেছে। তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাত ২টার দিকে লাশটি ঢামেকে নিয়ে আসা হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় গোলচত্বরে পুলিশ চেকপোস্টের পাশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে ওই ব্যক্তি নিহত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা।

এদিকে, ঘটনার পরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সংবাদিকদের জানান, নিহত ব্যক্তি বোমা বহন করছিল। এসময় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের অতিরিক্ত সতর্কতা থাকায় বোমাটি বিস্ফোরণ হয়েছে। কোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কোনো ধরনের নাশকতা নয়।

নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এখনো নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে নিহতের বয়স ৩০ থেকে ৩২ হবে। তার পরনে জিন্স প্যান্ট ও ফুল হাতার শার্ট ছিল।

এদিকে, নিহত ব্যক্তির কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে গত রাতেই এগুলো বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় এক পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন আহত হন।

বিবার্তা/নানা/খলিল/যুথি

>>বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় পুলিশসহ আহত ৬