লিবিয়ার ত্রিপোলির বেনগাজী ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৪৫ জন দেশে ফিরেছেন।
৬ ডিসেম্বর, বুধবার লিবিয়ার বেনগাজী থেকে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। আইওএম’র একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বেনগাজী থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকা পৌঁছান।
ত্রিপোলীর বাংলাদেশ মিশন জানায়, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দূতাবাসের পক্ষ থেকে বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৫ জন বাংলাদেশিকে আইওএম-এর সহযোগিতায় দেশে পাঠানো হয়েছে। তারা বুধবার সকাল ৭টায় লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে (UZ222) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন।
দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসন করা বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে গ্রহণ করে এবং বেনগাজীর বেনিনা বিমানবন্দরে তাদেরকে বিদায় জানায়।
লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাম্প্রতিক বেনগাজী সফরকালে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয় এবং তাদেরকে দেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়।
এছাড়া গত ১৯ নভেম্বর আইওএম লিবিয়ার ভারপ্রাপ্ত মিশন প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের সময় রাষ্ট্রদূত গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটকসহ দারনা শহরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে প্রথম পর্যায়ে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার হতে ১৪৫ জনকে আইওএম-এর সহযোগিতায় দেশে পাঠানো হয়েছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]