গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একে অপরের পরিপূরক: ন্যাপ
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪, ১২:২৭
গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একে অপরের পরিপূরক: ন্যাপ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সমগ্র বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করলেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের গণমাধ্যম আজও পরিপূর্ণ মুক্ত নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।


তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও বার বার শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুর কাছে গণমাধ্যমকে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। এখনও সেই ধারার বাইরে নয় বাংলাদেশের গণমাধ্যম। শাসকগোষ্ঠী মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বললেও প্রকৃত অর্থে তারাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে পদদলিত করে। শাসকগোষ্ঠী সকল সময়ই নিজেদের স্বার্থে গণমাধ্যমকেই টার্গেট করে।


শুক্রবার (৩ মে) ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।


তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বহুবার গণমাধ্যম শাসকগোষ্ঠীর আক্রমণের শিকার হয়েছে। এমন আক্রমণের শিকার হয়েছে যা সকল কিছুই মুক্ত গণমাধ্যম নীতির পরিপন্থি।


ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, সাংবাদিক সাগর-রুনির নির্মম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বর্তমান সরকার। সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। ফলে গণতন্ত্র বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে, এমনকি ভবিষ্যতে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছে দেশবাসী।


তারা বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন ইতিহাসের সবচাইতে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। নগ্ন থাবায় সংবাদমাধ্যম পুরোপুরি শৃঙ্খলিত। সকলের মনে রাখতে হবে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না, তেমনই মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।


নেতৃদ্বয় বলেন, মনে রাখতে হবে গণমাধ্যম যদি জনগণের আস্থায় জায়গায় থাকতে না পারে তাহলে সকল ক্ষেত্রেই বিপর্যয় ঘটতে বাধ্য। গণমাধ্যম দেশ-জনগণ-রাষ্ট্র-জণকল্যাণের কথা বলবে, ন্যায়ের কথা বলবে এটাই প্রত্যাশা করে। জনগণের এই প্রত্যাশা পুরন না না জনগণ গণমাধ্যম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য। গণমাধ্যম গণমানুষের জন্য। তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় কিংবা পত্রিকা না পড়ে, টেলিভিশন না দেখে তাহলে মিডিয়ার কিছুইতো আর থাকবে না।


তারা বলেন, গণমাধ্যমে যুগোপযোগী এবং মানসম্মত পরিবেশনা না থাকলে গণমাধ্যম দারুণ হুমকির মুখে পড়ে যাবে যেটি গণমাধ্যমতো বটেই জাতির জন্যও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। দেশ দুর্বৃত্তদের হাতে চলে যাবে। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সংগঠনগুলো আজ নানান ভাগে বিভক্ত। ফলে উপেক্ষিত হয় সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com