
বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না বলে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
৩ মে, শুক্রবার দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।
এসময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন।
ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছি, খারিয়া সম্প্রদায়ের দুইজন লোকই বেঁচে আছেন যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। বিষয়টি আমাকে ভাবিয়েছে। এজন্য নিজ উদ্যোগে তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমি আশ্বস্ত হয়েছি, শুধু দুইজন নয় এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন। খারিয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন।
এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজনীতা উপলব্ধি করে প্রধান বিচারপতি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।
এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এসময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]