
প্রায় মাস খানেক ধরে বৈশাখের তীব্র দাবদাহে জনজীবন স্থবির। গ্রীষ্মের প্রখর রৌদ্রে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় প্রকৃতি যেন আগুন জ্বেলেছে। গাছে গাছে কৃষ্ণচুড়ার লাল মোহনীয় রূপে সেজেছে উপজেলার পথ-প্রান্তর। রক্তিম কৃষ্ণচুড়ার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যেন হার মানায় ঋতুরাজ বসন্তকেও। এই কৃষ্ণচূড়াই গ্রীষ্মকে দেয় অন্য এক মাত্রা যা দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়।
শুক্রবার (৩ মে) উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দফতর এমনকি বাড়ির উঠোনে অনন্য রূপ ধারণ করে ফুটেছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। গাছে রক্তিম আভা নিয়ে জেগে থাকা কৃষ্ণচূড়া দৃষ্টি কাড়ছে ফুলপ্রেমী মানুষের।
প্রকৃতিপ্রেমীরা সেসব জায়গায় গিয়ে এই সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউবা ব্যস্ত কৃষ্ণচুড়ার সাথে সেলফি তোলায়।
জানা যায়, কৃষ্ণচুড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ। কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো বড় ৭-৮টি পাপড়িযুক্ত গাঢ় লাল। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম আর পাতা চিরসবুজ হয়ে থাকে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী প্রকৃতিপ্রেমী মারুফ হাসান রিফাত বলেন, গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহের মাঝে কৃষ্ণচূড়া স্বস্তি দেয়। এই সময়টা বাংলার পথ-প্রান্তর মাতিয়ে রাখে কৃষ্ণচূড়া । পথে-প্রান্তরে দাঁড়িয়ে থাকা এসব গাছ মনকেও আলোকিত করে।
উপজেলার পাকেরহাট এলাকার শাকিল আহমেদ বলেন, কৃষ্ণচূড়া শুধু সৌন্দর্যবর্ধন করে না গ্রীষ্মের এ আগুনঝরা দিনে তার ছায়ায় নিজেকে জুড়িয়ে নিতে অনেক মানুষ আশ্রয় নেয়।
উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কৃষি কাজ করি। কাজ করে মাঝে মাঝে এই কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বিশ্রামের জন্য বসি। এই গাছের নিচে বসলে শরীরও শীতল হয়।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তাজউদ্দিন বলেন, উপজেলার প্রায় সব জায়গায় কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ সেসব গাছ তদারকি করে। সৌন্দর্য বর্ধক এই গাছ রক্ষায় আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।
বিবার্তা/জামান/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]