ভূমি সমস্যা থেকে বের হওয়া কঠিন: পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৫৭
ভূমি সমস্যা থেকে বের হওয়া কঠিন: পরিকল্পনামন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দেশে ভূমি নিয়ে যে সমস্যা আছে, তা থেকে বের হওয়া কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে এ নিয়ে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে ভূমির সমস্যা সমাধানে নতুন কয়েকটি আইন হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগও শুরু হয়েছে।


১০ অক্টোবর, মঙ্গলবার ঢাকায় সিক্স সিজনস হোটেলে “জলবায়ু পরিবর্তনের পটভূমিতে মূলধারার আলোচনায় ভূমি অধিকার-তৃণমূলের দৃষ্টিভঙ্গি” শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।


এশিয়ান এনজিও কোয়ালিশন ফর অ্যাগ্রেরিয়ান রিফর্ম অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (এএনজিওসি) এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এএলআরডির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


এতে এম এ মান্নান বলেন, “বাংলাদেশের ৫০%-এর বেশি মানুষের জীবন–জীবিকা ভূমির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বর্তমান সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি ভূমি সংস্কারে আইন পরিবর্তন, নতুন আইন প্রণয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু ভূমি নিয়ে যে সমস্যা চলমান, তা থেকে বের হওয়া খুবই কঠিন।”


পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “ভূমিহীন মানুষের পক্ষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করার সুযোগ এখনো রয়েছে। হাজার বছরের পুঞ্জীভূত ভূমি অপরাধ নিরসনে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”


জলবায়ু পরিবর্তন প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষাবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়ান ফ্রাই এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে বলেন, “নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ৪২.৬% বন্যা, ৪০.৭% ঘূর্ণিঝড় এবং ৮২.৬% জলবায়ু সম্পর্কিত বিভিন্ন বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শীর্ষ ১০টি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে।”


এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের সভাপতি খুশী কবির বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তবতা। আমরা যত আন্তর্জাতিক সম্মেলন, চুক্তি ইত্যাদি দেখছি, কিন্তু সত্যিকারের কোনো সমাধান আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সব যেন কাগজপত্রেই সীমাবদ্ধ। যে-সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে, তা কি আদৌ বাস্তবায়িত হচ্ছে? বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র বিশেষ করে উন্নত রাষ্ট্র যত প্রতিশ্রুতিই দিক না কেন, জলবায়ু পরিবর্তনে তাদের যে উদ্যোগ, তা দেখে মনে হয় না যে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার কোনো সদিচ্ছা আছে।”


এই আয়োজনে আরও যারা সহায়তা করেছে, সেসব সংস্থা হলো গ্লোবাল ফোরাম অন অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন, গ্লোবাল ল্যান্ড টুল নেটওয়ার্ক এবং ল্যান্ড পোর্টাল ফাউন্ডেশন।


বিবার্তা/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com