আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রক ও কাস্টম কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ১৮:৪৮
আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রক ও কাস্টম কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা এবং আত্মসাৎ করার অভিযোগে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের চার কর্মকর্তা এবং কাস্টম হাউসের দুই কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


১৯ জুন, সোমবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আরিফ সাদিক বিবার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


মামলার আসামিরা হলেন– ঢাকা কাস্টম হাউসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আ. রউফ সরকার ও মো. হারুন-অর-রশীদ, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রক দপ্তরের নিয়ন্ত্রক মো. আওলাদ হোসেন, সহকারী নিয়ন্ত্রক মো. মামুন ইফতেখার রহমান ও মোছা. ফাতেমা খাতুন, উপ-নিয়ন্ত্রক মনিরুজ্জামান খান এবং আমদানিকারক মামুন হাওলাদার।


মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অন্যায়ভাবে লাভবান হতে অসৎ উদ্দেশ্যে মামুন হাওলাদার কর্তৃক আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করে। তারা অবৈধভাবে আনীত মেমোরি কার্ডের ইনভয়েস গোপন করে অতি অল্প সময়ে ২ লাখ ১০ হাজার পিস মেমোরি কার্ড গণনা ছাড়াই গণনা দেখিয়ে খালাসযোগ্য হিসেবে প্রত্যয়ন করেন।


এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, যাত্রী মামুন হাওলাদার আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট প্রাপ্তির আবেদন করে পণ্য ছাড় করেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্লিয়ারেন্স পারমিট প্রদান করে এবং আটক ব্যাগেজের মেমোরি কার্ড অবৈধভাবে আত্মসাৎ করে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে কমিশনের অনুমোদনক্রমে তাদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে।


আসামী (১) মামুন হাওলাদার (৫০), পিতা-মোকশেদ আলী হাওলাদার, (২) মো. আ. রউফ সরকার (৬১), সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা (চ.দা.), (৩) মো. হারুন-অর-রশীদ (৬৪), (৪) মো. মামুন ইফতেখার রহমান (৪২), সাবেক নির্বাহী অফিসার, বর্তমানে সহকারী নিয়ন্ত্রক, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর, (৫) মোছা. ফাতেমা খাতুন (৩২), সহকারী নিয়ন্ত্রক, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর, স্বামী: মো. কুদরত-ই-খোদা, (৬) মনিরুজ্জামান খান (৩৬), উপ-নিয়ন্ত্রক, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর, পিতা: আব্দুল মজিদ খান, (৭) মো. আওলাদ হোসেন (৫০), নিয়ন্ত্রক (চ.দা.), আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দফতর।


আসামিগণ নিজে এবং অন্যকে অন্যায়ভাবে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে যাত্রী মামুন হাওলাদার কর্তৃক আমদানী নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্য আমদানী, অবৈধভাবে আনীত ২,১০,০০০ পিস মেমোরি কার্ডের ইনভয়েস গোপন করে গণনা ছাড়াই গণনা দেখিয়ে পরিমাণ উল্লেখ করে ইনভয়েসে উল্লেখিত তথ্য অনুসারে যাত্রীর আমদানী নিষিদ্ধ পণ্য-কে খালাসযোগ্য প্রত্যয়ন করেন।


যাত্রী মামুন হাওলাদার কর্তৃক আমদানী ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর হতে Clearance Permit (CP) প্রাপ্তির আবেদনের সঙ্গে দাখিলকৃত তার নিজ নামে ইস্যুকৃত ইনভয়েসে 'Stock Lot' (যা আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী আমদানি নিষিদ্ধ) লেখা থাকা সত্ত্বেও উক্ত পণ্য ছাড়করণের জন্য Clearance Permit প্রদানের সুপারিশপূর্বক Clearance Permit প্রদান করে এবং আটককৃত ব্যাগেজের মেমোরী কার্ড অবৈধভাবে পরিবর্তনপূর্বক আত্মসাৎ করে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে সজেকা, ঢাকা-১-এ আজ একটি মামলা দায়ের করেছেন।


বিবার্তা/সানজিদা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com