শিরোনাম
শীতে ঘরের সাজেও আনুন পরিবর্তন
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:৩৯
শীতে ঘরের সাজেও আনুন পরিবর্তন
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রকৃতিতে এখন শীতের আগমনী বার্তা। তাই সবাই এখন উঠে পড়ে লেগেছেন চুল আর ত্বকের চর্চায়। কিন্তু সেখানে থাকা হয়, সে যায়গার কি যত্ন নিচ্ছেন কেউ। শীতের আগে নিজেকে যতই পরিবর্তন করুন না কেনো, ঘরের সাজ তো থেকে যাচ্ছে পুরনো। তাই সবকিছুর মতো ঘরের সৌন্দর্যেও চাই পূর্বপ্রস্তুতি।


শীতের সময় ঘরের সব সাজসজ্জায় একটু উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার উষ্ণতার আমেজ নিয়ে আসে। এ সময় ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে নতুন ধরনের সাজসজ্জা প্রয়োজন। ভিন্নধর্মী আলোকসজ্জা, রঙিন পর্দা, ফুলের সাজ ঘরের ভেতরে ভিন্নতা নিয়ে আসবে। পুরনো ঘরই নতুন সাজে হয়ে উঠবে নান্দনিক। তাই শীতের আগেই নতুন সাজের মাধ্যমে ঘরের ভেতরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পরিকল্পনা করে ফেলুন এখনই।


যেহেতু শীতের সময়টায় চারদিকে একটু ঠাণ্ডা ভাব থাকে, তাই আগে থেকেই ঘরের কিছু জিনিস পরির্বতন করে সেই ভাব কমিয়ে আনা সম্ভব। গরমের সময় আমরা কার্পেট ব্যবহার করি না, সেটা শীতে ব্যবহার করতে পারেন। এতে টাইলসের ঠাণ্ডাটা আর লাগবে না।


এছাড়া রুমের কালার একটু পরিবর্তন করলেও অনেকটা শীত কমে যাবে। প্রতিটি দেয়াল রঙ করা সম্ভব না হলেও রুমের একটা দেয়াল বা দুটো দেয়াল ব্রাইট রঙের করে নিন। এতেও কিন্তু শীতটা কমে যাবে আর রুমটাকে দেখতেও দারুণ লাগবে। সেই সাথে ম্যাচিং করে পর্দাও পরিবর্তন করতে পারেন। বিশেষ করে বেডরুমে।


বেডকভার একটু ভারী কাপড়ের ও রঙিন নকশার ব্যবহার করুন। ছেলে শিশুদের রুম ব্লু রঙের করে নিতে পারেন। সেই সাথে পর্দাও ম্যাচিং করতে পারেন। আর মেয়ে শিশুদের রুম পিংক বা অরেঞ্জ রঙের হলে দেখতে ভালো লাগবে। আর পরিবারের সবাই যেহেতু ড্রইংরুমেই বসে, সেখানে একটা দেয়াল অরেঞ্জ বা মেরুন রঙের করে নিন। সেই সাথে পর্দাগুলো পরিবর্তন করা সম্ভব, যদি রুমের কালার পরিবর্তন করা সম্ভব না হয়। পর্দার সাথে মিলিয়ে সোফার কুশনগুলোও ম্যাচিং করে নিলে ভালো। এতে ঘরের পরিবেশটায় পরিবর্তন আসবে।


এ ছাড়া শীতে হরেক রকমের তাজা ফুল পাওয়া যায়, সেসব ফুল নিয়মিত ড্রইংরুমে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে মনের বিষন্নতাও দূর হবে, ঘরের সৌন্দর্যেও নান্দনিক ভাব প্রকাশ পাবে। এসবের প্রস্তুতি আমরা এখন থেকেই ধীরে ধীরে করতে পারেন।


আলো ঘরের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে। আর বিভিন্ন আলোর ব্যবহারে সৌন্দর্যের নতুন মাত্রাও যোগ হয়। শুধু ঘর সাজানোর জন্যই নয়, দৈনন্দিন কাজের জন্যও আলো দরকারি। একটু পরিকল্পনা করে আলো ব্যবহার করলে কাজ আর সাজ দুটোই হবে। লম্বা ল্যাম্প শেডের আলো ঘরকে ব্রাইট করে তোলে। যেহেতু শীত আসছে এ সময় এলইডি লাইটের ব্যবহার শীত কমিয়ে দেবে। রুমকে উষ্ণ ভাব এনে দেবে।


আবার খাবার টেবিল বরাবর সিলিং থেকে ছোট-বড় কয়েকটি হ্যাংগিং লাইটও ঘরে আনবে ভিন্ন মাত্রা। বসার ঘর হলেই হবে না, ঝাড়বাতির জন্য চাই বড় আয়তনের বসার ঘর। বড় বসার ঘরের ঝাড়বাতি নির্বাচনে ডিজাইন ও নকশায় পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন। মাঝারি ধরনের বসার ঘরের জন্য সিলিং-লাগোয়া ছোট আকারের ঝাড়বাতি বেছে নিতে পারেন। ঝাড়বাতি ছাড়াও ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে এখন নানা রকম ফ্যাশনেবল বাতি পাবেন। তবে ঘরের মাপ ও সাজসজ্জার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলো বা ল্যাম্প শেড কিনুন।


বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com