শিরোনাম
এরশাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য নিতে দুদকের রিভিউ খারিজ
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৭, ১৫:৪৮
এরশাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য নিতে দুদকের রিভিউ খারিজ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাডার ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদের বিরুদ্ধে নতুন সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রশ্নে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

 

সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মির্জা হোসাইন হায়দার। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।

 

এ বিষয়ে খুরশিদ আলম খান জানান, রাডার ক্রয়সংক্রান্ত মামলাটি বিচারিক আদালতে বিচারাধীন। আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে এ মামলায় নতুন করে সাক্ষী নেয়ার আর কোনো সুযোগ থাকল না।


গত ৮ জানুয়ারি রাডারক্রয় সংক্রান্ত মামলায় নতুন সাক্ষ্য গ্রহণে দুদকের আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগ। পরে রায়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করে দুদক।


গত ২৪ নভেম্বর এরশাদের রাডার ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি ও ৩১ মার্চের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন ওই মামলার আসামি বিমান বাহিনীর সাবেব প্রধান সুলতান মাহমুদ।


এরশাদ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক।


মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষী নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।


অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনীপ্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দুটি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

 

তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।


বিবার্তা/বিপ্লব/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com