রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের (সাইফার) মামলায় গত সপ্তাহে জামিন পেয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি। কিন্তু আদিয়ালা কারাগারের বাইরে থেকে তাকে আবারও গ্রেফতার করা হয়েছে। কুরেশিকে ১৫ দিন আটক রাখার জন্য রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) যে আদেশ জারি করেছেন।

২৭ ডিসেম্বর, বুধবার আদিয়ালা জেলের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, গ্রেফতারের সময় কুরেশি পুলিশি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। এসময় পাঞ্জাব পুলিশের পোশাক পরা এক কর্মকর্তা তাকে পুলিশের গাড়িতে ওঠান। কুরেশির দলের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টেলিভিশনের ফুটেজগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।

কোন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল পিটিআইয়ের নেতা কুরেশিকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হলো, তা জানতে পুলিশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল ডন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি।

পুলিশ কর্মকর্তা যখন কুরেশিকে জোর করে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি বারবার বলছিলেন, তাকে ‘অবৈধভাবে’গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ নিয়ে তামাশা করছে বলেও অভিযোগ করেন এই পিটিআই নেতা।

পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি বলেন, মিথ্যা মামলায় তারা আবারও আমাকে গ্রেফতার করছে। আমি জাতির প্রতিনিধিত্ব করছি, আমি নির্দোষ। রাজনৈতিক বদলা নিতে বিনা কারণে আমাকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।

এর আগে গত শুক্রবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী কুরেশিকে সাইফার মামলায় জামিন দেয়া হয়। তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপি মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) কুরেশির পরিবার মুচলেকার টাকা শোধ করতে আদিয়ালা কারাগারে যান। তবে তারা জামিনে মুক্তির আদেশনামা হাতে পাওয়ার আগেই জানতে পারেন, রাওয়ালপিন্ডির উপকমিশনার হাসান ওয়াকার কুরেশিকে ১৫ দিন আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন।

গত বছরের এপ্রিলে দেশটির পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এরপর তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়েছে। দুর্নীতিসহ আরও কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে ইমরান এখন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন।

বিবার্তা/লিমন