স্কুল শিক্ষার্থীদেরও ড্রোন পরিচালনা শেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দেড় বছরের মাথায় ভারী সামরিক অস্ত্র-শস্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে ড্রোন। উভয় পক্ষই ব্যাপক হারে ব্যবহার করছে মনুষ্যবিহীন এই বিমান। অন্যসব অস্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি সুলভে এই অস্ত্রের মাধ্যমে অনেক বেশি নিখুঁত হামলা চালানো যাচ্ছে।
গত বছর ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই মস্কো এক ঘোষণায় জানিয়েছিল, তারা ২০২৩ সাল থেকে শিশুদের জন্য সোভিয়েত ধাঁচের সামরিক প্রশিক্ষণ পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে। এবার তারা জানিয়েছে, রাশিয়ার হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের সামরিক ড্রোন পরিচালনা ও মোকাবেলার পদ্ধতি শেখাবে। ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের এই কোর্সটি শেখানো হবে।
রাশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ড্রোন কোর্সের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীরা কোন উপায়ে মানববিহীন আকাশযান (ইউএভি) যুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে সে সম্পর্কে বোধগম্যতা অর্জন করবে। তারা ড্রোন চালানোর ব্যাপারে ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করবে, পাশাপাশি শত্রু ড্রোন মোকাবেলার পদ্ধতিও শিখবে।
স্কুলে সামরিক প্রশিক্ষণ সম্পর্কে রাশিয়ার পার্লামেন্ট সদস্য সের্গেই মিরোনভ বলেছিলেন, স্কুলগুলোতে এই জাতীয় প্রশিক্ষণ আমাদের নাগরিকদের শত্রুর সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষের জন্য পদ্ধতিগতভাবে প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে। স্কুল পর্যায়ের ওই সামরিক কর্মসূচিতে কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল, হ্যান্ড গ্রেনেড, শ্যূটিং প্রশিক্ষণসহ বেশিকিছু সামরিক নিয়ম-নীতি শেখানো হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার পর থেকে রুশ কর্তৃপক্ষ স্কুলে দেশপ্রেম বাড়ানোর ওপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। স্কুলগুলোকে নিয়মিত জাতীয় সঙ্গীত বাজানো এবং পতাকা উত্তোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন’ নামে একটি ক্লাসও চালু করেছে, যেখানে রাশিয়ার মূল্যবোধ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ড্রোন একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া যেন ড্রোন হামলা করে ইউক্রেনের অনেক ভেতর পর্যন্ত হামলা ছড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি ইউক্রেনও এই ড্রোন দিয়েই মস্কো পর্যন্ত তাদের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। খুব বড় পরিসরে না হলেও কিয়েভের এই হামলাগুলো মস্কোকে দুঃশ্চিন্তায় ফেলেছে। এমনকি ড্রোন হামলা চালিয়ে রাশিয়ার ফ্লাইট শিডিউল পর্যন্ত লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে কিয়েভ। যুদ্ধের এই অবস্থা দেখে যুদ্ধ বিষয়ক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী দিনের যুদ্ধে এই ড্রোনই বড় ভূমিকা পালন করবে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]