শিরোনাম
আফগানিস্তানে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১৭:১১
আফগানিস্তানে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আফগানিস্তানে রাজনৈতিক দলগুলোর সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান প্রশাসন। তালিবান সরকারের দাবি, দেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনার কার্যকলাপ ইসলামী আইন বা শরিয়া বিরোধী। দেশবাসীও এসব পছন্দ করে না। বুধবার (১৬ আগস্ট) তালেবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটিতে কার্যকর থাকা শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো ভূমিকা নেই। তাই এসব দলের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।


পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে কাবুলে ক্ষমতায় ফিরে আসার দ্বিতীয় বার্ষিকী পালন করার একদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। বুধবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সংবাদ সম্মেলন করে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন তালেবানের বিচারমন্ত্রী আবদুল হাকিম শারাই। সেখানে এর বিশদ বিবরণ না দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করার কোনও শরিয়া ভিত্তি নেই। তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করে না, দেশবাসীও তাদের পছন্দ করে না।’


২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসে কট্টরপন্থি এই দলটি। মূলত সেসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ থেকে মার্কিন সেনাদের বিশৃঙ্খলভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে ক্ষমতা দখল করে তারা। তবে দুই বছর আগে তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগপর্যন্ত ৭০টিরও বেশি বড় ও ছোট রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত ছিল।


ক্ষমতা দখলের পর থেকে বিরোধী ও সমালোচকদের দাবিয়ে রাখার জন্য সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতাকে ক্রমাগতভাবে খর্ব করে এসেছে তালেবান। মূলত তারা কেবল তাদের সমর্থকদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড করার অনুমতি দিয়ে থাকে।


কট্টরপন্থি এই গোষ্ঠীটি দারিদ্র-পীড়িত আফগানিস্তানে ইসলামী আইনের কট্টর ব্যাখ্যা জারি করেছে। তারা ষষ্ঠ শ্রেণির ওপরে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া এবং অধিকাংশ আফগান নারীকে তার কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ও প্রকাশ্য জীবন যাপন করা থেকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।


এছাড়া আফগানিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলোও ধারাবাহিকভাবে তালেবানের আক্রমণ ও দমন-পীড়নের মুখে রয়েছে। আর এর ফলে বহু সংবাদমাধ্যম ও নিউজ আউটলেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে এবং শত শত সাংবাদিক দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।


আফগানিস্তানের ক্রম-অবনতিশীল এই মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ এবং বিশ্বের অন্যান্য নজরদারি সংস্থাগুলো। একইসঙ্গে নারী ও সুশীল সমাজের স্বাধীনতার ওপর জারি করা বিধিনিষেধও প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এসব সংস্থা।


সংবাদমাধ্যম বলছে, সশস্ত্র এই বিদ্রোহীরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর দেশটির রাজনৈতিক দলের বহু নেতা এবং রাজনীতিবিদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। মূলত তাদের আশঙ্কা ছিল, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সাবেক সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে তারা হয়তো তালেবানের প্রতিশোধের মুখে পড়তে পারেন।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com