টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিযে আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গভীরে নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে আবারও শব্দ শোনা গেছে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। ফলে তল্লাশি অভিযানের আওতা আরও বাড়ানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই নিখোঁজ সেই সাবমেরিনের মজুদ অক্সিজেন শেষ হয়ে যাবে।
ইতোমধ্যে নিখোঁজ সাবমেরিন সন্ধানে একটি এইচসি-১৩০ হারকিউলিস ফ্লাইট ৮৭৯ মাইল (১৪শ কিলোমিটার) এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। এছাড়াও মার্কিন নৌবাহিনীর রোবটযান ভিক্টর ৬০০০ ও সিইউআরভি-২১ অভিযান চালাচ্ছে। এগুলো রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল। এর মধ্যে ভিক্টর ৬০০০ রোবটযানটি ২০ হাজার পানির গভীর যেতে সক্ষম। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিনের সাবেক কমান্ডার ডেভিড মার্কুয়েট এ শব্দ নিয়ে ভিন্ন কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি না এটি টাইটানের শব্দ। এই শব্দ প্রাকৃতিক হতে পারে।
বিবিসিকে মার্কুয়েট বলেন, আমরা শব্দ শুনতে পাচ্ছি এবং আরও জাহাজ এলাকায় আসছে। তারপরে আমরা আরও শব্দ শুনতে পাচ্ছি, তবে আমি মনে করি না এটি টাইটানের শব্দ।
গত রবিবার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে রওনা দিয়ে নিখোঁজ হয় ‘টাইটান’ নামের সাবমেরিনটি।
১৯১২ সালে পর্যটকবাহী জাহাজ টাইটানিক ডুবে যায়। যার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে। যেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ১২৩ ফুট গভীরে পড়ে আছে। সেটি দেখতে মার্কিন কোম্পানি ওশানগেটের সাবমেরিন টাইটানে চেপে রবিবার কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড প্রদেশের সেন্টজন শহর থেকে রওনা হন ওই পাঁচ পর্যটক। এই অভিযানে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক অভিযাত্রীর মাথাপিছু খরচ হয়েছে আড়াই লাখ ডলার।
সাবমেরিনে থাকা যাত্রীরা হলেন-ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ, ওশানগেটের শীর্ষ নির্বাহী স্টকটন রাশ ও সাবমেরিনটির চালক ও ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পল হেনরি নারগিওলেট।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]