
সুস্বাদু এই মাছটির নাম আমরা সবাই জানি। এটি কম চর্বিযুক্ত ও কম ক্যালরি সমৃদ্ধ মাছ। যারা সাধারণত মাছ পছন্দ করে না তারাও এই মাছটি খেতে পারেন, কারণ অন্যান্য মাছের মতো আঁশটে গন্ধ এই মাছে থাকে না। তেলাপিয়া মাছ উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং শরীরের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের এমাইনো অ্যাসিড এতে আছে।
এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, সেলেনিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, নিয়াসিন, পেন্টোথেনিক এসিড ও ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। তেলাপিয়া মাছ সহজলভ্য এবং দামেও সাশ্রয়ী। এবার তাহলে জেনে নেই তেলাপিয়া মাছের স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো:
শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে: মানব শরীরের বৃদ্ধির জন্য প্রাণীজ প্রোটিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, কোষ, কলা, ঝিল্লি ও পেশীর সঠিক বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন ও এমাইনো এসিড প্রয়োজন। তেলাপিয়া মাছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও প্রায় সকল ধরনের এমাইনো অ্যাসিড আছে। এক টুকরো তেলাপিয়া মাছে ২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
ওজন কমাতে সহায়তা করে: তেলাপিয়া মাছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকলেও চর্বি ও ক্যালোরি কম থাকে। যারা ওজন কমাতে ডায়েট করছেন তাই ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে চান তাদের জন্য তেলাপিয়া আদর্শ খাবার হতে পারে।
হাড়ের গঠনে সাহায্য করে: তেলাপিয়া মাছে ফসফরাস নামের খনিজ উপাদান আছে। এটি হাড়, নখ ও দাঁতের গঠনের জন্য অপরিহার্য। ফসফরাস এই অঙ্গগুলোকে মজবুত ও টেকসই করে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে ফলে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। ফসফরাস অস্টিওপোরোসিস এর বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে।
প্রোস্টেট ক্যান্সার নিবারণ করে: অন্যান্য মাছের মতো তেলাপিয়াতেও প্রচুর সেলেনিয়াম নামক খনিজ উপাদানটি আছে যা প্রোস্টেট ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়। সেলেনিয়াম এ এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে পারে।
হৃদপিণ্ডের সুস্থতা নিশ্চিত করে: তেলাপিয়া মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা মানুষের কারডিওভাস্কুলার সিস্টেম থেকে কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারাইড লেভেল কে কম করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও বিভিন্ন ক্রনিক অসুখ সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে। তেলাপিয়ার পটাশিয়াম রক্তচাপ কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
অকালবার্ধক্য রোধে সহায়তা করে: তেলাপিয়া মাছের সেলেনিয়াম ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই কে উদ্দীপিত করে যা ত্বকের গুণগত মান উন্নত করে ও বলিরেখা দূর করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: তেলাপিয়া মাছের সেলেনিয়াম শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে জীবাণুর ও টক্সিনের কার্যকারিতা নষ্ট করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেলেনিয়াম থাইরয়েড এর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সতর্কতা
তেলাপিয়া মাছ অবশ্যই স্বাস্থ্যকর কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের ও ছোট বাচ্চাদের স্বল্প পরিমাণে খেতে হবে। পরিষ্কার ও ভালো জায়গায় চাষ হওয়া তেলাপিয়া মাছ খেতে হবে।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]