রূপ রুটিনে তো নারকেলের ব্যবহার আছেই, সাথে খাবার হিসেবেও বেশ জনপ্রিয় এটি। পিঠা-পুলি, পায়েস-ক্ষীর ও সেমাই রান্নাতেও হরহামেশা নারকেল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এবারের বিভিন্ন তরকারী রান্নায় স্বাদ বাড়াতেও নারকেলের জুড়ি নেই। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, শরীরের জন্যও খুব উপকারী নারকেল, যা অনেকেরই অজানা। তাই আজ রইলো নারকেরের কিছু গুণের কথা।
১. আখরোট, বাদাম এবং মিশ্রির সঙ্গে নারকেল মিশিয়ে খেলে তা আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
২. নারকেলে যে সম্পৃক্ত চর্বি আছে, তা প্রচলিত সম্পৃক্ত চর্বির মতো নয়। এটি মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড বা এমসিটি হিসেবে পরিচিত। এ চর্বি শরীরে ক্ষতিকর চর্বি হিসেবে জমা হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এটি কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার মতো কমবেশি শক্তি জোগায়। তবে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না, যা শর্করাতে বাড়ে।
৩. প্রতি ১০০ গ্রাম নারকেলে শর্করার পরিমাণ থাকে ১৫ গ্রাম। যারা শর্করা এড়াতে চান, তারা নারকেল খেতে পারেন।
৪. শর্করা কম ও এমসিটি চর্বি ঝরাতে সাহায্য করলেও নারকেলে কিন্তু ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম নারকেলে ৩৫৪ ক্যালরি থাকে। তাই নারকেল আবার খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়। খাদ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, শরীরে যে পরিমাণ ক্যালরি দরকার, এর ১০ ভাগের ১ ভাগ নারকেল খেয়ে পূরণ করতে পারেন।
৫. গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ৫০ গ্রাম নারিকেল খাওয়া সন্তানের জন্য ভালো। এতে সন্তানের গায়ের রঙ ফর্সা হয়।
৬. পেটের কৃমি দূর করতে প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর এক চামচ নারিকেল খান। এতে পেটের কৃমি দূর হয়ে যাবে।
এছাড়া, পানি শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করে, বাড়তি উদ্দীপনা জোগায়। ত্বকের লাবণ্য বাড়াতে ফেসিয়ালের সময় নারকেল তেলের ব্যবহার করা যায়। নারকেল তেলের রান্না করা খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এ ছাড়া নারকেল তেল মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তবে যাদের কোলেস্টেরল বেশি, তাদের নারকেল খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]