অভিনেত্রী সালমা হায়েক হলিউড মুঘল হার্ভে ওয়েইনস্টাইনকে যৌন লালসায় উন্মত্ত দানব হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ওয়েইনস্টাইন তাকে যৌন হয়রানি করেছে এবং তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিল।

মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের উপসম্পাদকীয়তে ৫১ বছর বয়সী এই বলিউড অভিনেত্রী লিখেছেন, ওয়েইনস্টাইন তাকে একবার বলেছিলেন, আমি তোমাকে মেরে ফেলবো। মনে করো না যে আমি এটি করতে পারবো না।

রোজ ম্যাকগোয়ান, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও গিনেথ প্যাল্ট্রোসহ বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী ওয়েইনস্টাইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও হামলার অভিযোগ করেছেন। তবে তিনি এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মেক্সিকান বংশোদ্ভুত সালমা বলেন, অন্য নারীর সাথে যৌন দৃশ্যে অভিনয়ে রাজী না হলে তার স্বপ্নের চলচ্চিত্র ‘ফ্রিদা’ নির্মাণ বন্ধের হুমকি দেন ওয়েইনস্টাইন। তিনি সম্পূর্ণ নগ্নতা দাবি করেছিলেন।

তিনি লিখেছেন, আমার কাছে এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, লালসা না মেটালে তিনি কখনোই ছবিটি আমাকে শেষ করতে দেবেন না। আলোচনার কোনো উপায় ছিল না। তাই আমাকে হ্যাঁ বলতে হয়।

২০০২ সালে মেক্সিকোর সঙ্গীত শিল্পী ফ্রিদা কাহলোকে নিয়ে ছবিটি নির্মিত হয় এবং ফ্রিদা উভকামী (বাইসেক্সুয়াল) ছিলেন।

ওই দৃশ্য চিত্রগ্রহণের সময় তার মানসিক অবস্থার কথা জানিয়ে সালমা লিখেছেন, তখন আমাকে ট্রাঙ্কুলাইজার নিতে হয়েছিল। তার মতে, ওই দৃশ্যটি অপ্রয়োজনীয় ছিল।

তিনি বলেন, আপনি চিন্তা করতে পারেন যে এটি মোটেও যৌন আকর্ষক ছিল না। কিন্তু এটিই ছিল একমাত্র উপায়, যা মাধ্যমে ওই দৃশ্যটি শেষ করতে পারি।

তিনি আরো লিখেন, বিষয়টি শুধু এমন ছিল না যে, আমাকে অন্য নারীর সাথে নগ্ন হতে হবে। বিষয়টি এমন ছিল যে, আমাকে তার সাথে নগ্ন হতে হবে হার্ভি ওয়েইনস্টেইনের জন্য।

তবে ফ্রিদা ছয় ক্যাটাগরিতে অস্কারের জন্য মনোনয়ন পায় এবং সালমা পেয়েছিলেন সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ান।

এদিকে ওয়েইনস্টাইনের মুখপাত্র বুধবার বলেছেন, ফ্রিদা উভকামী ছিলেন, তাই গল্পের প্রয়োজনে অপর অভিনেত্রী অ্যাশলে জুডের সাথে সালমাকে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়। সূত্র: বিবিসি ও এনবিসি নিউজ

বিবার্তা/জাকিয়া