
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সিন্ডিকেট সভার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান। পদত্যাগের কারণ হিসেবে সিন্ডিকেট সভায় এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ এবং শিক্ষক সমিতির বিগত দাবি উপেক্ষাকে দেখিয়েছেন তিনি।
১৯ মার্চ, মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার বরাবর অধ্যাপক ড. মকছেদুর রহমান সাক্ষরিত এক পদত্যাগ পত্র থেকে এই তথ্য জানা যায়।
পদত্যাগ পত্রে হয়, গত ১৪ মার্চ তারিখে সিন্ডিকেট সভায় এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্যের আপত্তি সত্ত্বেও কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে সুবিধা প্রদানের জন্য পরিকল্পিতভাবে ডিন মনোনয়ন দেয়া হয়েছে যা শুধু দুঃখজনকই নয় বিধি-বহির্ভূতও বটে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ হতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত অনিয়ম ও সমস্যা সমাধানের জন্য গত ২৫ ও ২৮শে ফেব্রুয়ারি এবং ৫ ও ১৩ মার্চ লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়েছে কিন্তু সমাধানের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে শিক্ষকরা বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন, সাধারণ শিক্ষক হিসেবে আমি নিজেও বিড়ম্বনার শিকার।
পদত্যাগ পত্রে আরো বলা হয়, সিন্ডিকেট সভায় মতামত প্রদানের সুযোগ খুবই সীমিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মতামত প্রদানের কোনো সুযোগ নেই, এখানে সদস্য হিসেবে থাকা বা না-থাকা একই অর্থ বহন করে। মূলত, আমাদেরকে সভার কোরাম পূর্ণ করার জন্য রাখা হয়েছে। সচেতন নাগরিক হিসেবে যেটা অস্বস্তিকর।
পদত্যাগের ব্যাপারে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান বলেন, 'আমার দায়িত্ব চলমান অবস্থায় আমি পদত্যাগ করেছি। সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে আমাদের কথা বলার সুযোগ খুব কম দেওয়া হয়। আমাদের মতামত গ্রহণ করা হয় না। এতদিন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই পদত্যাগ করেছি।'
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'সিন্ডিকেট সভায় প্রায় ২০ জনের মতো সিন্ডিকেট সদস্য থাকে। সবাইকে কথা বলার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভায় সবাই স্বাধীন, সবাইকে মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়। উনার এটা লাস্ট সিন্ডিকেট সভা ছিল।'
বিবার্তা/প্রসেনজিত/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]