
পাকিস্তানে বসবাসরত জাতিসংঘ ঘোষিত ‘সন্ত্রাসী’ মাওলানা মাসুদ আজহার জানিয়েছেন, ভারতের বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদে হামলায় তার পরিবারের ১০ সদস্য ও চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন।
বিবিসি উর্দু জানিয়েছে, মাসুদ আজহারের নেতৃত্বে পরিচালিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগনি ও পরিবারের আরও পাঁচ শিশু। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, ওই হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা’ও নিহত হয়েছেন।
জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। এরপর থেকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রতিদিনই দুপক্ষের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (৬ মে) দিনগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।
হামলার পর নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের পক্ষে দুই ধরনের দাবি উঠেছে। ভারত বলছে, ৭০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের ভাষ্য, হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
আবার পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩২ জন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দিল্লির বিমান হামলার জবাবে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তান যখন ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে তখন এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, একটি রাশিয়ার তৈরি সু-৩০ ও অন্যটি মিগ-২৯। সু-৩০ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সোভিয়েত আমলে তৈরি। তবে পাকিস্তানের এ দাবির প্রতিক্রিয়ায় নিশ্চিত করে কিছু বলেনি ভারত।
সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]