বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শের-ই-বাংলা হলের কক্ষে ঢুকে তিন শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে মুখোশ পরা একদল দুর্বৃত্ত। আজ মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ক্যাম্পাসে। আহতরা বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত, লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জি এম ফাহাদ ও ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী জিহাদ।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত সিফাত ও ফাহাদকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। জিহাদের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শের-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর বলেন, অতর্কিত হামলায় দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি। পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখছে।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আহতদের মধ্যে সিফাতের সারা শরীরে কোপানোর জখম রয়েছে। তার একটা হাত ভেঙে গেছে। তাকেসহ আরেকজনকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হামলার বিষয়ে আহত সিফাত বলেন, ভোর রাত সাড়ে ৫টার দিকে হেলমেট ও মুখোশ পরে ১০-১৫ জনের একটি দল তার কক্ষে প্রবেশ করে। তাদের সবার হাতে ছিল রামদা, বগি দাসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক, জিআই পাইপ ও রড। তারা কক্ষে প্রবেশ করে আমাদের তিনজনকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে-কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে গেছে।
হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন দাবি করে সিফাত অভিযোগ করেন, রিয়াজ মোল্লার নেতৃত্বে হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বহিরাগতরাও ছিলো।
ওই হলের আবাসিক ছাত্র জিয়া বলেন, সাড়ে ৫টার দিকে ফজরের আযানের পর হঠাৎ করে ১০-১৫ জন হেলমেট পরিহিত অবস্থায় হলে প্রবেশ করে। তারা সব কক্ষ বাইরে থেকে আটকে দেয়। পরে তারা সিফাতকে কক্ষ থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে এবং জিএম ফাহাদের হাত ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়।
এদিকে হামলার সঙ্গে জড়িত নন দাবি করে রিয়াজ মোল্লা বলেন, সিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় জমি দখল থেকে শুরু নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বহু মানুষ তার ওপর ক্ষিপ্ত। এখন কারা তার ওপর হামলা করেছে সেটা বলতে পারবো না।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমান বলেন, কারা হামলা করেছে এখনও নিশ্চিত নই। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। ফুটেজ পেলে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হবে।
বিবার্তা/রাসেল/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]