ডেমরার রফিকুল ইসলাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে শ্রেণীকক্ষে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর বাবা ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষার্থী সাহেদুর রহমান সিদ্দিকীর (অনন্ত) বাবা শরীফ মোহাম্মদ সফিকুল আলম মঙ্গলবার ঢাকা জেলার শিক্ষা অফিসার বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই রবিবার ডেমরার রফিকুল ইসলাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মামুন মিয়া ইসলাম ধর্ম ক্লাশে আমার ছেলেকে বেধড়ক বেত্রাঘাত করেন। বাসায় ফেরার পর তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেতের নয়টি আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। বেত্রাঘাতের ফলে তার বাম পা ফুলে যায়, যার ফলে সে হাঁটতে পারছিল না। রাতে শরীরে জ্বর আসলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। অসুস্থতার কারণে গত সোমবার সে স্কুলে যেতে পারেনি। এছাড়া শিক্ষক বেত্রাঘাতের পরে আমার ছেলেকে ভয়ভীতি দেখায়, যার ফলে সে এখন স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে।’
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ক্লাশের পরীক্ষা চলাকালে অন্য শিক্ষার্থীরা স্যারের কাছে অনন্তের বই খোলা বলে জানালে শিক্ষক কোনো কিছু না দেখেই আমার ছেলেকে ওর বেঞ্চ থেকে উঠিয়ে প্রহার করে। বিষয়টি স্কুলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট মৌখিকভাবে অবহিত করলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মামুন মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থী বই দেখে লেখায় আমি তার পায়ে কয়েকটি আঘাত করেছি। আমি যতটুকু প্রহার করেছি তার রাইট আমার আছে, আর এতটুকু প্রহার না করলে ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে পারবো না।’
রফিকুল ইসলাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সমন্বয়ক ঝর্না লুৎফা বলেন, শিক্ষার্থীর বাবা মৌখিকভাবে আমাকে বিষয়টি জানালে আমি ওই শিক্ষককে যা বলার তা বলেছি। শিক্ষার্থীদের মারার রাইট কোনো শিক্ষকের নেই। আমরা কোনো শিক্ষার্থীকে মারতে বলিও না কখনো।
ঢাকা জেলার শিক্ষা অফিসার মো. বেনজীর আহম্মদ বলেন, শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আমি কথা বলে দেখবো।
বিবার্তা/আদনান/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]