
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে শুরু করেছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা, হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন। এটি মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এর আগে গত শুক্রবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৫ শতাংশ। যেটি ছিলো মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ।
হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে দিনমজুর, ভ্যানচালক ও শ্রমিকদের। গত কয়েকদিন ধরে দেখা মিলছেনা সূর্যের।
শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলাজুড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগব্যাধি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
কৃষি শ্রমিক জামাল উদ্দিন জানান, এই শীতের মধ্যে বেশির ভাগ দিনই কাজ জুটছে না। দিন যত যাচ্ছে শীত ততই বাড়ছে। হাত-পা অবস হয়ে যাচ্ছে। কুয়াশার মধ্যে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৬.১ থেকে ৮ হলে তা মাঝারি, তাপমাত্রা ৪.১ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে গেলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
বিবার্তাআসিম/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]