
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। একদিকে উত্তরের হিম শীতল ঠান্ডা বাতাস অন্যদিকে কুয়াশা, তাছাড়া সকাল গড়িয়ে দুপুর পেরিয়ে গেলেও দেখা মিলছে না সূর্যের। এমন পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৩ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯১ শতাংশ।
এদিকে শীতের মৌসুম শুরুর পর থেকে জেলার বেশিরভাগ বাড়িতে জ্বর-কাশি-ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে।
কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় যানবাহনগুলো আজ সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি আবহাওয়ার কারণে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজকের পর থেকে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে। তবে কুয়াশা পরিস্থিতি একই থাকবে।
এদিকে জেলায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড় ও কম্বল বিতরণ শুরু হলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।
জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত ১৫ হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে গরম কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সূর্য না ওঠায় এবং উত্তরের ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। জেলায় আবারও শিগ্গিরই শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
আসিম সাঈদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]