
একদিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। গাড়ঘণ কুয়াশা কেটে গিয়ে সূর্যের দেখা মিললেও কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৯ শতাংশ।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৫ শতাংশ। একদিনের ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে দিনমজুর, ভ্যানচালক ও শ্রমিকদের। তবে অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
শহরের ভ্যান চালক আজমত আলী বলেন, ‘পেটের দায়ে ভোর হলেই ভ্যান নিয়ে বের হতে হয়। কিন্তু শীতের কারণে সকালে যাত্রী নেই বললেই চলে। ঠান্ডায় হাত অবস হয়ে যাচ্ছে। পেটের দায়ে তাও কাজ করতে হচ্ছে।’
চা-দোকানি মোহাম্মদ শরীফ বলেন, সকালের দিকে প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকায় লোকজনের আনাগোনা কমে গেছে। যার কারণে দেরিতে দোকান খুলছেন তিনি।
বিবার্তা/আসিম/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]