
গত কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। একদিনের ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রা কমেছে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে মৃদু শৈত্য প্রবাহের আভাষ দিলো জেলা আবহাওয়া অফিস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
আর সকাল ৯ টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ।
একদিকে বইছে হিমেল বাতাস অন্য দিকে কুয়াশা। এমন পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়লেও কাজ থেমে নেই দিনমজুর ও শ্রমিকদের। ভোর থেকেই ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করে কাজের সন্ধ্যানে মাঠে ছুটছেন তারা। বিপাকে পড়েছেন ভ্যান ও রিকশা চালকেরা।
রবজেল মন্ডল নামের এক কৃষক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা রোগী তিনি। কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। সকালে খেতে কাজ করতে পারি না। ঠান্ডার মধ্যে কাজ করলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবারও কাজ করতে হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। মাসের শেষের দিকে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিবার্তা/আসিম/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]