
কনকনে শীতে কাঁপছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। তবে উত্তর থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাসে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
আর সকাল ৯ টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
একদিকে বইছে হিমেল বাতাস অন্য দিকে কুয়াশায় ভরে আছে গোটা জেলা। একইসাথে গত শনিবার ও রবিবার দেখা মেলেনি সূর্যের। এমন পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষেরা সবচে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়লেও কাজ থেমে নেই দিনমজুর ও শ্রমিকদের। ভোর থেকেই ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করে কাজের সন্ধ্যানে মাঠে ছুটছেন তারা। বিপাকে পড়েছেন ভ্যান ও রিক্সা চালকেরা।
এদিকে জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে শীত জনিত রোগ। জেলাজুড়ে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে অভিভাবকদের সচেতন হওয়াই সবচেয়ে জরুরি। শীতের শুরুতে আবহাওয়া পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করাকেই রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সুত্রে জানা গেছে, জেলায় তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। কয়েক দিনের মধ্যেই জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিবার্তা/আসিম/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]