
হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। কয়েকদিন ধরে ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামার করছে। হিমেল বাতাস আর বাড়তি আর্দ্রতার কারণে সকালে কনকনে শীত অনুভূত হলেও রোদের উজ্জ্বলতায় জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৯ শতাংশ ছিল।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর ) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় আবহাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, শীতের মাঝেও সকাল থেকে জীবিকার টানে কাজে ফিরেছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। চা বাগান, খনি এলাকা ও নদীঘাটে শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভ্যানচালক, দিনমজুর, রিকশাচালকরা জানাচ্ছেন, রোদের আলো পাওয়ায় সকালবেলার কাজ কিছুটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
অন্যদিকে, শীত বাড়ায় শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, হাঁপানি ও সর্দি-কাশির রোগী বেশি আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, তেঁতুলিয়ার শীত শুধু রাতেই নয়, সকাল ও সন্ধ্যায়ও প্রভাব ফেলছে। সূর্য উঠলেও ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকায় অনেকেই সকালে আগুন জ্বালিয়ে হাত-মুখ গরম করছেন। তবে দুপুরের সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রা মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দেয়।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৫৯ শতাংশ। বিশেষ করে হিমালয় বিধৌত এলাকায় এ উপজেলাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]