
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক পিচিংয়ে ধস দেখা দিয়েছে। উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল সড়কটারী এলাকায় ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক পিচিংয়ে ভাঙন দেখা দেয়ায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।
এতে হুমকির মুখে রয়েছে গোটা ডানতীর রক্ষা প্রকল্প বলে দাবি এলাকাবাসীর। জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষা করার কথা জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের কড়াল গ্রাস থেকে চিলমারীকে রক্ষার জন্য ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে নদের ডানতীর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রাস্তাটি ব্লকপিচিং করা হয়।
প্রকল্পের আওতায় উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকা থেকে রমনা ইউনিয়নের জোড় গাছহাট বাজার পর্যন্ত এলাকার কাজ সম্পন্ন করা হয় কয়েক ধাপে। ওই প্রকল্পে কয়েক দফায় ভাঙন দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে তা মেরামত করা হয়।
সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির প্রভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেলে হঠাৎই নদের ডানতীর ঘেঁষে ভাঙন সৃষ্টি হয়। এতে গত সোমবার রাতে কাচকোল সড়কটারী এলাকায় প্রকল্পের ব্লক পিচিংয়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ রাস্তার ব্লক পিচিংয়ে ভাঙন দেখা দেয়ায় চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বার বার নদী ভাঙনের শিকার হওয়া নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। এতে হুমকির মুখে রয়েছে গোটা ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও আবাদী জমি বলে এলাকাবাসীর দাবী। অপরদিকে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষা করার কথা জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী।
সরেজমিনে কাচকোল সড়কটারী (শিমুল তলী) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে এক জায়গায় ৩০ মিটার ও অপর একটি জায়গায় ২০মিটার মিলে দু’টি স্থানে প্রায় ৫০মিটার এলাকায় ব্লক পিচিং নদীতে ভেঙে গেছে এবং ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদের তীব্র স্রোতের ফলে ভাঙ্গনটি জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
এসময় ওই এলাকার আব্দুল কাদের, একরামুল হকসহ অনেকে জানান, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ তীব্র স্রোতে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধের দাবি জানান তারা। রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল করিম জানান, জরুরি ভিত্তিতে যদি ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে গোটা ডানতীর রক্ষা প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।তাই যত দ্রুত সম্ভব জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, আমরা দেখে এসেছি দুইটা পয়েন্টে মোট ৫০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে আমরা রক্ষা করবো।
বিবার্তা/রাফি/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]