
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সাড়ে ১১ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৬২ শতাংশ শিশুর। এখনো প্রায় ৩৮ শতাংশ শিশুর রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তবে টিকাদান দিন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে টিকাদান। গত ১ আগস্ট শুরু হয় রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। জেলা তথ্য কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র দাস টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদেরকে নিয়ে এ বিষয় এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ ও লজিস্টিক) নাসিমা সুলতানার খাতুনের সভাপতিত্বে, কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া, প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
এ সময় জানানো হয়, এটি দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে এ কর্মসূচির আওতায় বিনা মূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।
আগামী ১২ অক্টোবর টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়ে চলবে ১৮ দিন। প্রথম ১০ দিন বিদ্যালয় ও পরের আটদিন স্থানীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন ও টিকাদান কার্যক্রম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান কর্মশালার অতিথিসহ সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য অফিস থেকে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী, জেলার আখাউড়া ও আশুগঞ্জ উপজেলায় রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কম। আখাউড়ায় ৩৮ হাজার ২১৭ ও আশুগঞ্জে ৪০ হাজার ১৯৭ জন শিশুর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা সদরে এক লাখ ২১ হাজার ৪৭৪ জন, বাঞ্ছারামপুরে ৭৯ হাজার ৩৪০ জন, বিজয়নগরে ৭০ হাজার ৪২৬ জন, কসবায় ৭২ হাজার ৮১০ জন, নবীনগরে এক লাখ ২৫ হাজার ৯১৯ জন, নাসিরনগরে ৭৭ হাজার ৪২৭ জন এবং সরাইলে এক লাখ এক হাজার ২১৬ জনের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে।
কর্মশালায় জানানো হয়, টাইফয়েড জ্বর হলো প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে এ টিকা দেওয়া জরুরি। প্রতিবছর বিশ্বে ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় ও এক লাখ ১০ হাজার মানুষ মারা যান। মারা যাওয়াদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়া এবং সাব-সাহারান আফ্রিকায় বসবাসকারী।
এদিকে, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২১ সালে চার লাখ ৭৮ হাজার জন টাইফয়েডে আক্রান্ত হন এবং আট হাজার মারা যান যার মধ্যে ৬৮ শতাংশই ছিল শিশু।
বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]