শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৫
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস । ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।


তাদের স্মরণে রাজধানীর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।


রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান ঘুরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের এমন চিত্র দেখা গেছে।


সরেজমিনে, দলে দলে বিভিন্ন দলীয় ব্যনারে স্লোগান দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে অনেককে।


এছাড়াও, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সচেষ্ট ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়।


১৪ ডিসেম্বর (রবিবার) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস । ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামসরা নির্মমভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।


দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে দিনটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এদিন জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের শিকার তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।


নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে পুরো দেশের মানুষ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই এ দেশীয় নরঘাতক রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞে।


বিজয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে বাঙালিকে মেধাশূন্য করার এ নৃশংস নিধনযজ্ঞ সেদিন গোটা জাতিসহ পুরো বিশ্বকেই হতবিহ্বল করে দেয়।


পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র দুদিন আগে, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে ঘাতকচক্র কেবল ঢাকা শহরেই প্রায় দেড়শ’ বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন পেশার কৃতী মানুষকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে।


সেই রাতে তালিকা ধরে ধরে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী ও পদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হত্যা করে ফেলে রাখা হয় নিস্তব্ধ অন্ধকারে।


পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুরের ডোবা-নালা ও রায়েরবাজার ইটখোলাতে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় অনেক নিথর দেহ।


কারও শরীর বুলেটবিদ্ধ, কারও অমানুষিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত। হাত পেছনে বেঁধে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছিল অনেককে।


বিবার্তা/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com