শিরোনাম
তরঙ্গ বাড়ানো ছাড়া ভালোমানের ফোরজি সেবা পাওয়া সম্ভব না
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৭:১৫
তরঙ্গ বাড়ানো ছাড়া ভালোমানের ফোরজি সেবা পাওয়া সম্ভব না
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

বর্তমানে মোবাইলফোন অপারেটরদের যে পরিমাণ স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ রয়েছে তা দিয়ে সারা দেশে ভালোমানের ফোরজি ও ইন্টারনেট সেবা দেয়া সম্ভব নয়। মোবাইল ফোন অপারেটরদের যেখানে অন্তত ১০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ দরকার, সেখানে গড়ে রয়েছে ৩৯ দশমিক ১৫ মেগাহার্জটজ। এখানে অনেক মধ্যসত্ত্বভোগী রয়েছে। প্রত্যেকেই নিজেদের মতো মুনাফা করছে। এসব কারণে মোবাইল অপারেটররা সারা দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে মানসম্মত মোবাইল সেবা দিতে পারছে না বলে মত দিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।


তিনি বলেন, সারা দেশে গ্রাহকদের মানসম্মত মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা দিতে গেলে অপারেটরদের তরঙ্গ বাড়াতে হবে। তরঙ্গ বাড়ানো ছাড়া ভালোমানের ফোরজি সেবা দেয়া সম্ভব না।


সম্প্রতি বিবার্তা২৪ডটনেটের সাথে একান্ত আলাপে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। আলাপে উঠে আসে টেলিযোগাযোগ খাতের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসসহ মোবাইল অপারেটরদের সারা দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে মোবাইল সেবার বিভিন্ন দিক। আলাপের কিছু অংশ এখানে বিবার্তা২৪ এর পাঠকদের উদ্দেশে ‍তুলে ধরা হলো।



বিবার্তা :টেলিযোগাযোগ খাতের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (এমএফএস) বর্তমান অবস্থাকে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?


মহিউদ্দিন আহমেদ : বর্তমানে করোনা মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতির গতি চলমান রাখতে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস (এমএফএস) সবচাইতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত লেনদেন, ই-কমার্স পেমেন্ট, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, পয়ঃনিস্কাশন, ট্যাক্স দেয়াসহ অন্যান্য সকল সেবার বিল পরিশোধের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসব ঈদে যাকাত দেয়া, এমনকি ঈদ সালামি দেয়ার ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এই সেবায় দৈনিক লেনদেন হচ্ছে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এখনো এ সেবার সামর্থ্যের ৬৫ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে না। অর্থাৎ ৬৫ শতাংশ মানুষ কোনো ধরনের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে রয়েছে। এমএফএস সেবায় নিবন্ধিত হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি গ্রাহক। তবে সক্রিয় লেনদেনকারীর সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা ৭০ শতাংশ। দেশে বর্তমানে ১৫টি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় রয়েছে। আরেকটি প্রতিষ্ঠান নতুন করে প্রতিযোগিতায় নামার চেষ্টায় রয়েছে।


বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে এজেন্ট রয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৪৪ হাজার। কিন্তু প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রান্তিক পর্যায়ে রিটেইলার বা এজেন্ট না থাকায় তাদের দেয়া সুবিধাদি, এমনকি প্রতিযোগিতার কোনো সুফল প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকরা পাচ্ছেন না। আমরা মনে করি, এ সেবার সামর্থ্যের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করলে দৈনিক লেনদেন ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ফলে সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করতে পারবে। জিডিপিতে অংশগ্রহণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। এ সেবার সঠিক ব্যবহার বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে একদিকে যেমন জিডিপির অগ্রগতি হবে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানও বাড়বে।


বিবার্তা :এ সেবার অগ্রগতি হচ্ছে না কেন? আপনার অভিজ্ঞতা কী বলে?


মহিউদ্দিন আহমেদ : দেখুন, এ সেবার অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় হলো এর গলাকাটা উচ্চ সার্ভিস চার্জ। আমরা এই সেবা চালুর পর থেকেই উচ্চ সার্ভিস চার্জ কমানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছি। যদিও সরকারিভাবে কেন্দ্রীয়ব্যাংক সার্ভিস চার্জ কমানোর কোনো উদ্যোগ আজ পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। তবে বাজার প্রতিযোগিতা রক্ষার স্বার্থে রাষ্ট্রীয় অংশিদারিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’কিছুটা হলেও সার্ভিস চার্জ কমিয়ে বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আশা রাখি আগামী দিনে এই প্রতিযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকলে গ্রাহকেরা খুব দ্রুতই এর সুফল ভোগ করতে পারবে।


তাছাড়া একটি এমএফএস কোম্পানির বিদেশী মালিকরা বাংলাদেশে আরো কয়েকটি ডিজিটাল কোম্পানী কিনে তাদের একচেটিয়াত্ব আরো প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছে। এসব বিষয়েও বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। এ সেবার আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে এর নিরাপত্তা ও কর অব্যবস্থাপনা।



বিবার্তা : মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে আরো গ্রাহকবান্ধব করতে করণীয় কী?


মহিউদ্দিন আহমেদ : আমার মতে, বর্তমান মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ কমিয়ে এক অংকে নামিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ প্রতি হাজারে ভ্যাট-ট্যাক্স খরচসহ আনুষাঙ্গিক অন্যান্য ব্যয় মিটিয়েও হাজারে ১০ টাকা চার্জ গ্রাহক প্রতি ধার্য করতে হবে। বর্তমান কর হার পরিবর্তন করে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। আন্ত লেনদেনের চার্জ শূন্যে (০) নামিয়ে আনতে হবে। সেইসাথে সেন্ড মানি চার্জ সকল অপারেটরকে শূন্য (০) টাকায় নামিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ সেন্ড মানি ফ্রি করতে হবে। দৈনিক লেনদেনের পরেও অপারেটরদের কাছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা সঞ্চিত থাকে। এই টাকা অপারেটরেরা কলমানি মার্কেটে বিনিয়োগ করলেও সেই বিনিয়োগের লভ্যাংশ গ্রাহকেরা পায় না। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে গ্রাহকের সঞ্চিত অর্থের উপর লাভ দিতে হবে। তবে দুই-একটি প্রতিষ্ঠান কিঞ্চিৎ পরিমাণ লাভ গ্রাহকে দিয়ে থাকে। অপারেটরদের কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে আনতে হবে। বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি। ভ্যাটসহ কোন সেবার চার্জ কত টাকা কাটা হয়েছে, তা প্রতি লেনদেনের সাথে সাথে গ্রাহককে জানানোর কথা থাকলেও দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান গ্রাহককে তা জানায় না। এ ধরনের নির্দেশনার অমান্যের ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় এনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে গ্রাহকের অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা দিতে হবে। নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার দায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে। এমএফএস সেবার পরিধি বৃদ্ধি করতে এই সেবাকে মোবাইল ওয়ালেট হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এমএফএস সেবায় এই মুহূর্তে একটি প্রতিষ্ঠানের বাজার শেয়ার ৭০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। গ্রামীণফোনের মতো ওই প্রতিষ্ঠানটিকেও সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকরী (এসএমপি অপারেটর) হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এটি হলে গ্রাহকেরা আরো বেশি উপকৃত হবে। এ বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিলেই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আরো গ্রাহকবান্ধব হবে বলে আমার বিশ্বাস।



বিবার্তা : মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে?


মহিউদ্দিন আহমেদ : তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে গ্রাহকরা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নিতে গিয়ে নানান সমস্যায় পড়ে থাকেন। তাই এমএসএস-এর নিরাপত্তা জোরদার করতে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া রিটেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া ও তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি তাদের নজরদারির আওতায় আনলে এমএফএস সেবায় প্রতারণা বন্ধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।


বিবার্তা : এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ। মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান উন্নয়ন হচ্ছে না কেন?


মহিউদ্দিন আহমেদ : সিনট্যাক্স প্রত্যাহার করতে আমরা চলতি বাজেট অধিবেশনের পূর্ব থেকেই সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। কারণ একজন গ্রাহক হয়তো ১০-২০ টাকা দিয়ে কিংবা রিচার্জের বিপরীতে বাজার থেকে ক্রয় করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, কারণ গ্রাহকের কাছ থেকে মোবাইলফোন অপারেটররা দিনশেষে সিনট্যাক্স ও চিপের মূল্য ধারাবাহিকভাবে পাকিস্টিতে গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করে থাকে। এর ফলে গ্রাহকের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। অপারেটররা এ খাতে বিপুল বিনিয়োগ করার কারণে সেবার মানোন্নয়নে মনোযোগ দিতে পারে না।



বিবার্তা : সারাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে মোবাইল সেবার মান বৃদ্ধিতে কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে?


মহিউদ্দিন আহমেদ : বর্তমানে মোবাইল অপারেটরদের যে পরিমাণ স্পেকট্রাম রয়েছে তা দিয়ে বিটিআরসি কোয়ালিটি অব সার্ভিস রেগুলেশনের অধীনে ৪জি সেবার জন্য নির্ধারিত সর্বনিম্ন ডাউনলিংক স্পিড সীমা ৭ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) দেয়া সম্ভব নয়। বর্তমান ৪জি সেবা ব্যবহারকারী এবং তার অনুপাতে মোবাইল অপারেটরদেরকে বরাদ্দকৃত যে পরিমাণ স্পেকট্রাম রয়েছে, তা ৭ এমবিপিএস সেবা দেয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। এই ৭ এমবিপিএস সেবা দিতে গেলে প্রত্যক মোবাইল অপারেটরের প্রয়োজন ১০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম। অথচ গড়ে মোবাইল অপারেটরদের ২০২১ সালের স্পেকট্রাম নিলামের আগে স্পেকট্রাম ছিল ৩২.৩ মেগাহার্টজ। নিলামে উত্থাপন করা পুরো স্পেকট্রাম অপারেটররা নিয়ে নেয়ার পরও নিলামের পরে গড় স্পেকট্রাম হয়েছে ৩৯.১৫ মেগাহার্টজ। এখান থেকে এটা স্পষ্ট যে, বিটিআরসি যথেষ্ট পরিমাণে স্পেকট্রাম মোবাইল অপারেটদের জন্য উন্মুক্ত করতে পারেনি বা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।


বাংলাদেশে গ্রাহক প্রতি মোবাইল অপারেটরদের স্পেকট্রামের যে অনুপাত রয়েছে তা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। আর এতো কম স্পেকট্রাম অনুপাতে ৭ এমবিপিএস সেবা দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যেসব দেশে ৪জি সেবার গতি বেশি সেসব দেশে স্পেকট্রামের বরাদ্দ অনেক বেশি এবং একইসাথে গ্রাহক সংখ্যাও বাংলাদেশের তুলনায় কম। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের স্পেকট্রামের মূল্যে প্রতিটি গ্রাহক এবং তাদের হতে আয়কৃত রাজস্ব অনুপাতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এমনকি সর্বশেষ অনুষ্ঠিত নিলামে শেষ ৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম ব্লকের যে মূল্য উঠেছে তা একটি বিশ্ব রেকর্ড। এছাড়া নিলামগুলোতে স্পেকট্রাম যে উচ্চ ভিত্তিমূল্য ধরা হয়ে থাকে তা আসলে অপারেটরদের বেশি স্পেকট্রাম নেয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বাঁধা হিসেবে কাজ করছে।


বিটিআরসি এখন পর্যন্ত অন্যান্য ব্যান্ডউইথ যেমন ২৩০০ মেগাহার্টজ, ২৬০০ মেগাহার্টজের স্পেকট্রাম মোবাইল অপারেটরদেরকে বরাদ্দ করতে পারেনি। বিটিআরসি যে ৪জি স্পিডের সীমা নির্ধারণ করেছেন তা নিশ্চিত করতে হলে স্পেকট্রাম বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা, অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যাপক প্রসার প্রয়োজন। কাজেই এখানে এই বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, অপারেটরদের জন্য আরো বেশি স্পেকট্রাম সুলভমূল্যে বা ৫জির কথা বিবেচনায় ফ্রিতে বরাদ্দের সাথে সাথে ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা, অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যাপক প্রসার নিশ্চিত করা হলে কোয়ালিটি অব সার্ভিস আরো উন্নত সম্ভবপর হবে।



বিবার্তা : মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের দাম কমছে না কেন?


মহিউদ্দিন আহমেদ : মোবাইলফোনে ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণ না করার পেছনে বিটিআরসির ব্যর্থতা রয়েছে। বর্তমানে মোবাইলফোন অপারেটরদের যে পরিমাণ স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ রয়েছে তা দিয়ে ভালোমানের ফোরজি ও ইন্টারনেট সেবা দেয়া সম্ভব নয়। মোবাইলফোন অপারেটরদের যেখানে অন্তত ১০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ দরকার, সেখানে গড়ে রয়েছে ৩৯ দশমিক ১৫ মেগাহার্জটজ। এখানে অনেক মধ্যসত্ত্বভোগী রয়েছে। প্রত্যেকেই নিজেদের মতো মুনাফা করছে। মাত্র ২টি এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান মাঠ দখলে রেখেছে। বিটিআরসি নিজেই এসব সুযোগ করে দিয়েছে। সংস্থাটি নিলামের সময় স্পেকট্রামের যে ভিত্তিমূল্য ধরে, সেটি অস্বাভাবিক। সবশেষ নিলামে ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্লকের মূল্য বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। কারণ, গ্রাহক ও রাজস্ব আদায়ের আনুপাতিক বিচারে এটি সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত বিটিআরসি ২৩০০ ও ২৬০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ মোবাইল অপারেটরদের বরাদ্দ করতে পারেনি। এসব কারণে সংস্থাটি মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপ নিতে পারছে না।


বিবার্তা/গমেজ/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com