চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি এলাকার অধিবাসীরা মাত্র একবার শৈত্যপ্রবাহের পরশ পেয়েছেন। তবে ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে দিনে তো দূরে থাক, রাত বা ভোরের তাপমাত্রাও শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি পর্যায়েও নামেনি। এবার নতুন বছরের শুরু থেকে জেঁকে বসবে শীত, আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলা হয়েছে, শীতের বাতাস আসার পথে প্রধান বাধা ছিল ভূমধ্যসাগর থেকে আসা মেঘ আর জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বাতাস। শুক্রবার থেকে তা সরে গেছে। ফলে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। নতুন বছরের শুরু থেকে শীত বাড়বে। উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় এরই মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে গেছে। শনিবার থেকে দেশের আরো কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর থেকে শনিবারের জন্য দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১, নীলফামারীতে ১০ দশমিক ১ ও শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ও চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে থাকা গত ৩০ বছরের রেকর্ড অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে তিন থেকে চারটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। মূলত দেশের উত্তরাঞ্চল, যশোর-চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার ও রাজশাহী বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এই মাসে সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা থাকে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা থাকে শ্রীমঙ্গলে সাড়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় মাসজুড়ে শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি থাকে।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]