শিরোনাম
শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:১২
শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। পরে নিয়মানুযায়ী শপথনামায় সই করেন নতুন প্রধান বিচারপতি। শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করমর্দন না করে তারা কনুইয়ে কনুই ছুঁইয়ে এলবো বাম্প করেন।


শপথ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, তিন বাহিনী প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, উচ্চ আদালতের দুই বিভাগের বিচারপতিরা।


এরআগে প্রধান বিচারপতি হিসেবে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।


বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। তার নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।


১৯৫৬ সালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ৯ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। ১৯৭২ সালে খোকসা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। এরপর সাতক্ষীরা আচার্য্য প্রফুল্ল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৪ সালে তিনি ওই কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ১৯৭৬ সালে স্নাতক পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর তিনি ধানমন্ডি ‘ল’ কলেজ থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।


১৯৮১ সালে তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।


২০০১ সালে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর যোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে তাকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে বাদ দেয়। তার সঙ্গে আরো ৯ জন বিচারপতিকে বাদ দেয়া হয়।


বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাদ দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বাদ পড়া ১০ বিচারপতি। এরপর হাইকোর্ট বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। ওই রায়ের পর ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ ১০ জন, যা ১০ বিচারপতির মামলা নামে পরিচিত। এরপর ২০১৩ সালের মার্চ মাসে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com