শিরোনাম
‘আমাদের স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় দরকার’
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৫৫
‘আমাদের স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় দরকার’
আদনান সৌখিন
প্রিন্ট অ-অ+

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ। ভূমি আইনের রাজনীতি ও কৃষকের দারিদ্র নিয়ে পিএইচডি করেছেন নিউজিল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন থেকে। ইউপিএল থেকে প্রকাশিত তার অভিসন্দর্ভটি বিদগ্ধ মহলে সমাদৃত হয়েছে। আইনকে কড়কড়ে দারুন পরিশীলিত বাংলায় প্রকাশ করে লিখেছেন ‘আইনের ভাব ও অভাব’ নামে আরেকটি বই। ধর্মীয় অনুভূতির সাংবিধানিক স্বরূপ নিয়ে বাংলাদেশ অধ্যায় লিখেছেন হার্ট থেকে প্রকাশিত এবং প্রফেসর থিও লি এন এবং জ্যাকলিন নিও সম্পাদিত ‘রিলিজিয়াস অফেন্সেস ইন কমন ল এশিয়া’ বইয়ের।


দেশি বিদেশী জার্নালে প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার, লিগ্যাল হিস্ট্রি ও সংবিধানিকতাবাদ নিয়ে গোটা দশেক গবেষণা প্রবন্ধ। আইনের বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন ভারত, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, আমেরিকা এবং থাইল্যান্ডে। ২০১৯ সালে আমন্ত্রিত ভিজিটিং স্কলার হিসেবে সফর করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্টেলেনবশ ইউনিভার্সিটিতে। টিভি টক শো ও পত্রিকায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানান ইস্যুতে থাকছেন সরব। তবে তিনি আইনকে আইনের খোলসমুক্ত করার কাজে আছেন। তার আইনি মানসে ও ব্যাখ্যায় মানুষের অশ্রু, ঘাম আর রক্তের দরদ টের পাওয়া যায়।


সম্প্রতি বিবার্তার সাথে এক দীর্ঘ সাক্ষাতকারের মুখোমুখি হন। জানান বাংলাদেশের আইনি বিষয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের কথা, কথা বলেছেন সাম্প্রতিক কিছু ইস্যুতে আইনের জটিলতা নিয়ে। দুইপর্বের এই সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন বিবার্তা২৪ডটনেটের নিজস্ব প্রতিবেদক আদনান হোসাইন সৌখিন। তার প্রথম পর্ব আজ প্রকাশ করা হলো...



বিবার্তা: আপনার বর্ণাঢ্য শিক্ষাজীবন নিয়ে কোনো প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা যদি বলতেন।


মাসুম বিল্লাহ: আমার শিক্ষাজীবন ‘বর্ণাঢ্য’ কিনা জানিনা, তবে রঙিন, সংগ্রামী এবং স্বর্ণালী বলতে পারেন। আমি বড় হয়েছি মাগুরার একটি গ্রামে। ভারী সুন্দর আমার স্কুলের নাম-নহাটা রাণী পতিত পাবনী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়। ক্লাস এইটে আমি সারা মাগুরা জেলায় দ্বিতীয় হয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাই এবং এসএসসিতে নহাটা স্কুলে সেন্টার ফার্স্ট হই। এরপর রাজেন্দ্র কলেজ ফরিদপুর হয়ে রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স করি। আমার রাজশাহীর জীবন ছিল অনেকটা ভিনি-ভিডি-ভিসি-আসলাম, দেখলাম, জয় করলাম-এর মতো। আমি অনার্স-মাস্টার্স দুই জায়গাতেই প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করি। তারপর ঢাকায় এসে কয়েকবছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়ে পাড়ি দেই সাদা মেঘের দেশ নিউজিল্যান্ডে-পিএইচডির জন্য। ওখানকার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে ডক্টরেট করে ফিরে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার শিক্ষকতা শুরু করি। সেটি ২০১৭ সালের কথা।


বিবার্তা: আপনার আইনি চিন্তায় রাজনীতির গল্প থাকে। আপনি ছাত্র অবস্থায় যে ধরনের ছাত্র রাজনীতি দেখেছেন সেটার সাথে আজকের ছাত্র রাজনীতির গুণগত কোনো পার্থক্য দেখতে পান কি না?


মাসুম বিল্লাহ: আমার রাজনীতি মানস গড়ে উঠেছে নব্বই দশকের রাজনীতির বাস্তবতায়। এরশাদের পতন আমি বুঝেছি, অনুভব করেছি এর গভীরতা। ১৯৯০ সালে আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। ১৯৯১ এর নির্বাচন, ১৯৯৪-এর মাগুরার উপনির্বাচন কেন্দ্রিক জাতীয় রাজনীতির মেরুকরণ, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাদানিকের (ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির) আন্দোলন, গোলাম আযমের নাগরিকত্ব মামলা, ধর্মাশ্রয়ী শ্রেণীর চাপে তসলিমা নাসরিনের দেশত্যাগ, ১৯৯৬-এর ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং তৎকালীন খালেদা সরকারের পতন, বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, ১৯৯৬ সালের ১২ই জুনের ঐতিহাসিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা এর প্রত্যেকটা ব্যাপার আমার রাজনীতি মানস তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে।


আমি মনে করি ছাত্র রাজনীতিতে বৈরিতা ও হানাহানি আগেও ছিল এখনো আছে। নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও দাবড়ানি সংস্কৃতি, হল দখল এসব তখনো ছিল। তবে আমি একটা জিনিস আজকের ছাত্ররাজনীতিতে দেখিনা। সেটা হচ্ছে মুগ্ধতা। মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থাকার মতো বা মনোযোগ দিয়ে বক্তৃতা শোনার মত ছাত্র নেতা এখন দেখা যায় না বললেই চলে। আগের ছাত্র-নেতৃত্ব জ্ঞান-চর্চায় অগ্রগামী ও বক্তৃতা শৈলীতে বেশি প্রাখর্য্যময় ছিল বলে মনে করি। মনে আছে রাজেন্দ্র কলেজের সেই সময়ের ভিপি অনিমেষ রায়ের বক্তৃতা শোনার জন্য আমরা দলমত নির্বিশেষে অপেক্ষা করতাম। এখন ক্লাসের সবচেয়ে অমেধাবী ও অমধুর ছাত্রটিকে নেতা হতে দেখি।


আরো একটা ব্যাপার মনে হয়, ছাত্রদের সঙ্গে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের সম্পর্ক নেই এখন। আগে এটা দেখতে পেতাম। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত, কপালে-কব্জিতে লাল-সালু বাধা দীপ্ত যেকোনো রাজনীতি প্রবণ তরুণকে আমি বিস্ময়ের সঙ্গে খেয়াল করি। রাজনীতি আমার আগ্রহের জায়গা।



বিবার্তা: আইনের শিক্ষক হিসেবে আপনার আফসোসের জায়গা কোনটি?


মাসুম বিল্লাহ: এতো লম্বা গল্পের ব্যাপার। ‘শিক্ষক’তো এখন করুণার নাম, লোকে বলে- ‘দরিদ্র মেধাবী শিক্ষক’! এখন জ্ঞানপিয়সী, ছাত্র প্রিয় বা ছাত্র খ্যাদানি শিক্ষকের সংখ্যা কম। শিক্ষকের হাতে এখন বেত নেই, আবার বইও নেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রধান সীমাবদ্ধতা হলো মানসম্পন্ন লাইব্রেরির অভাব। এক ক্লিকে যে আমি এখানে বসে পৃথিবীর সেরা বইটি বা প্রবন্ধটি পড়বো তার ব্যবস্থা নেই। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের লাইব্রেরির দীনতার জন্য লজ্জা করা উচিত।


দ্বিতীয় কথা হলো, আমাদের শিক্ষকরা একজন আরেকজনের কাছ থেকে শিখতে চান না, অর্থাৎ শিক্ষক সংস্কৃতি এখন উঠে গেছে বললেই চলে। শুধু একটি নদী ভ্রমণ দিলাম, পার্টি দিলাম, সমিতির নির্বাচন হলো, একটা সেমিনার হলো এসব কোনো ব্যাপার নয়। ইট ডাজ নট মেক সেন্স। ২০১৯ সালে আমি সামান্য কেপটাউনের স্টেলেনবশ ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে গিয়েছিলাম। তাদের লাইব্রেরির বহর দেখে বেহুশ হয়ে যাবার জোগাড়।


আর আইনের শিক্ষার কথা আলাদা কি বলবো! সরকার মনে করে, বিনিয়োগ করবোনা আইন পড়ালেখায়, কিন্তু এমনি এমনি আইনজ্ঞ বের হয়ে আসবে, আইনের শাসন কায়েম হয়ে যাবে। এভাবে হয় না। আইন শিক্ষাকে উন্নয়ন শিক্ষার অনুষঙ্গ মনে করতে হবে। একটা আলাদা স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় দরকার আমাদের।


বিবার্তা: এ বছর আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, সংবিধানও তো ৫০ এ পড়লো। আপনার পর্যালোচনা জানতে চাচ্ছি।


মাসুম বিল্লাহ: মুজিব জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর পাশাপাশি আরো একটা মাইলফলকের সামনে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, আর তা হচ্ছে এবছর আমাদের সংবিধান প্রণয়নের ৪৯ বছর, আর এক বছর পরেই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংবিধানও সগৌরবে তার ৫০ বছরে পদার্পণ করবে।


স্বাধীন দেশে হেমন্তের এক মিষ্টি বিকেলে মাত্র নয় মাসে আমরা গেঁথেছিলাম আমাদের রক্ত, ঘাম ও অশ্রুভেজা সংবিধান। আমরা যাতে করে ‘স্বাধীনসত্তায় সমৃদ্ধি লাভ’ করতে পারি, সেই জন্যে ‘মানবজাতির প্রগতিশীল আশা আকাঙ্ক্ষার সাথে সঙ্গতি’ রেখে আন্তর্জাতিক সংবিধানিকতাবাদ-এর প্রতিচ্ছবি হয়ে আমরা তৎকালীন জমানার অন্যতম প্রাগ্রসর ওই ১৯৭২ সনের সংবিধান নিজেদেরকে দিয়েছিলাম। সেটা ছিল উদার অর্থে আমাদের রাষ্ট্রের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই জাতিকে দিয়ে যাওয়া শ্রেষ্ঠতম উপহার, যার ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা হয়: ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ ... জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন’। সামরিক শাসনের যাঁতাকল এবং অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আমাদের সংবিধান তার রেজিলিয়েন্স দেখিয়েছে বলে আমি মনে করি।



বিবার্তা: নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ শুরু করতে যাচ্ছেন। অনেকে অবশ্য সার্চ কমিটি না করে একটা পূর্ণাঙ্গ আইন তৈরির কথা বলেন। আপনার মত কি?


মাসুম বিল্লাহ: বিধিবদ্ধ একটি আইন থাকলে ভালো হয়। কারণ এটা একটা সাংবিধানিক আজ্ঞা ও অভিজ্ঞান। কমিশন গঠন করার ব্যাপারে এবং এর কাজের পরিধি বর্ণনার সময় সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ বেশ কয়েকবার ‘আইনের সাপেক্ষে’ কথাটির দোহাই দিয়েছে। তাই এমন একটি আইন না করবার কোনো কারণ নেই।


তবে সার্চ কমিটি সিস্টেমও কিন্তু মন্দের ভালো। সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন করার প্রচলন প্রথম শুরু করেন রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে। তিনি প্রথমে চব্বিশটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের পরামর্শ মতে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে তিনি ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করেন। সার্চ কমিটির গঠনকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আইনি রক্ষাকবচ দেয়া হয়। সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ‘নোটিফিকেশন’ও আইনের মর্যাদা পায়। সার্চ কমিটি প্রতি পদের বিপরীতে দুইজন করে কমিশনারের নাম প্রস্তাব করে, এবং রাষ্ট্রপতি এদের মধ্য থেকে চারজনকে সদস্য এবং একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।


২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ রাষ্ট্রপতি জিল্লুরের ফর্মুলা অনুসরণ করে এটিকে একটি সাংবিধানিক রেওয়াজে পরিণত করেন। গতবার থেকে একজন নারী সদস্য যুক্ত হবার বিধান পাকা করা হয়েছে। সাংবিধানিক আইনবিজ্ঞানের এই জেন্ডার উপলব্ধি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমবার বিএনপি সক্রিয়ভাবে এবং দ্বিতীয়বার নিষ্ক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। এক্ষেত্রেও বলা যায়, সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই চর্চা একটা আইনের মর্যাদা পেয়েছে (অর্থাৎ ‘আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোনো প্রথা বা রীতি’)।


এই চর্চার সুন্দর দিক সংলাপের মাধ্যমে এভাবে কমিশন গঠিত হলে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য তৈরি হয়। জনগণ এর নজর থাকে বিধায়, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ফর্মুলা প্রদান ও কথাবার্তায় সতর্ক হয়। এ প্রক্রিয়ায় সার্চ কমিটিতে ও কমিশনের মনোনয়নে রাজনৈতিক দলগুলো এমন নাম প্রস্তাব করে যে, যাতে করে তাদের প্রস্তাবিত নামটি শ্রেয়তরভাবে অন্যদলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। নাগরিক প্রতিনিধিরা অংশ নেন বিধায়, এখানে অংশীমূলক গণতন্ত্রের চর্চা হয়।


বিবার্তা: আমাদের দেশে মামলার মোকদ্দমার দীর্ঘসূত্রিতা মূল কারণ কি বলে আপনি মনে করছেন? এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ কি?


মাসুম বিল্লাহ: এর মূল কারণ, আমাদের মানুষের জেলের ভাত খাওয়ানোর বা দেখে নেয়ার সংস্কৃতি। এখানকার মানুষ অনেক যত্ন করে মামলাবাজিকে একরকম শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ওই যে একটা জনপ্রিয় সংলাপ আছে: ‘থানার সামনে দিয়ে যখন যাচ্ছি, তখন চাচার নামে মামলাডা করেই যাই’!


এই সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়েছে, অপরাধ বৈচিত্র্য, বিচারকদের স্বল্পতা ও অদক্ষতা, আইনজীবীদের একচেটিয়াত্ব, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যকর ব্যবহার না থাকা। আমাদের ক্ষীর এক হাড়ি, কিন্তু পীর আশি হাজার! ফলে আমাদের বিচারকদের হয়েছে জ্বালা। বিশাল মামলার ভার আর তারা সইতে পারছেন না।


অনেকক্ষেত্রে, বিজ্ঞ বিচারকগণ বারের উকিলদের সামগ্রিক স্বার্থের কাছে নিরুপায় হয়ে পড়েন। তারা উচ্চ আদালতেরও তাড়া খান, আবার বারের পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলেন। পুরো ন্যায় পরিচালন ব্যবস্থায় তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষতা বাড়াতে হবে (ই-জুডিশিয়ারি)। কেস ম্যানেজমেন্ট এ নজর দিতে হবে। সারাবান তহুরা জামান এবং বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের ভালো দুটি গবেষণা কাজ রয়েছে এ বিষয়ে। চাইলে দেখে নিতে পারেন।


বিবার্তা/আদনান/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com