
বনায়ন রক্ষায় দেশের উপকূল এলাকা থেকে কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনোমিক জোন) বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন ভবনে বন্যপ্রাণী, বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সব উপকূলে ইকোনোমিক জোন জরুরি নয় বরং বনও লাগবে। তাই কিছু ইকোনোমিক জোন বাতিলের প্রক্রিয়ায় নেমেছি।
প্রাণী রক্ষায় ফেসবুকে কে আগে পোস্ট দিলো সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলে বন্যপ্রাণী রক্ষার আসল এজেন্ডা বাস্তবায়ন হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম বন্যপ্রাণী রক্ষায় এগিয়ে এসেছে এটিই বড় স্বার্থকতা। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর চেয়ে রক্ষা এখন জরুরি।’
৬৪ জেলায় ৬৪ জন বন্যপ্রাণীকর্মীকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এতে করে অন্যরা বন্যপ্রাণী রক্ষায় উৎসাহিত হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘বন্যপ্রাণী ইউনিট’ খুলবে। অনুমোদন এরইমধ্যে দিয়ে দিয়েছে। বন্যপ্রাণী ট্রাস্ট ফান্ডও হচ্ছে।’
ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম নিয়ে কাজ করতে গত এক বছর বন বিভাগ অনেক তৎপর ছিল জানিয়ে তিনি বেলন, ‘চলনবিলকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে কোন কোন স্থাপনার কারণে পানি কমে যাচ্ছে সেটি নিয়ে কাজ করছি। তারপর অপসারণের কাজ করবো।’
জগই বিলসহ ছয়টি নতুন এলাকা সংরক্ষিত ঘোষণার প্রায় দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছেন বলেও জানান রিজওয়ানা। তিনি বলেন, ‘ওখানে অন্যান্য সরকারি সংস্থা থাকায় তাদের মতামত নিতে হবে।’
বনের একটা প্রাণীর বিপদে পাশে দাঁড়ানোই নিস্বার্থ ভালোবাসা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘মেছাবিড়ালকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। বন্দিকে উদ্ধার করা হচ্ছে- এর মানে বাংলাদেশ এখন প্রাণীদের রক্ষা ও উদ্ধারে তৎপর।’
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]