চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার গোপালনগরে সাপের কামড়ে দিবালী খাতুন (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১৩ জন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

শনিবার রাতে গোপালনগর গ্রামে সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সাপটিকে জীবিত উদ্ধার করেছে। সাপের কামড়ে আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত স্কুল ছাত্রী আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়মের গোপালনগর গ্রামের রকিবুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী।

আহতরা হলেন- মৃত ছাত্রীর মা রত্না খাতুন (৩৫), তার খালা খাতুন (৪০), ফুফু আলমিনা খাতুন (২৫), একই এলাকার শাহাবুলের কন্যা উম্মে হাবিবা খাতুন (১০), সাইফুলের পুত্র মুস্তাকিম (১০), বিল্লালের কন্যা স্মৃতি খাতুন (১২), মজিবুল হকের মেয়ে রুনা খাতুন (১৪), বিল্লালের স্ত্রী বিউটি খাতুন (৩০), সাইফুলের স্ত্রী খাতুন (৩০), শিউলী খাতুন (৩৪), শ্যামলী খাতুন (২২), সাদিয়া খাতুন (১৬) ও দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার জামান আলীর ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (২২)।

জানা গেছে, গত শুক্রবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্কুলছাত্রী দিপালীকে একটি সাপে কামড় দেয়। সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় একটি হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নেয়। পরে কাজ না হলে নেয়া হয় পাচকমলাপুর গ্রামের মৃত রেজাউল বিশ্বাসের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য তুহিন ওঝার কাছে। সে ঝাড়ফুক করে দীর্ঘক্ষণ। পরে অবস্থা আশংকাজনক হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল নেয়ার পথে মারা যায় দিবালী।

শনিবার সন্ধ্যার পর ওই সাপটি দেখতে পাওয়া যায় তার বাড়িতে। এ পর্যায়ে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। এতে সাপটি আরো ১৩ জনকে কামড়ে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের হাসপাতালে না নিয়ে নেয়া হয় ওঝা তুহিনের কাছে। সেখানে শুরু হয় ঘরের দরজা বন্ধ করে ঝাঁড়ফুক।

অপরদিকে, গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার জামান আলীর ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (২২) সাপের কামড়ে আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, উজ্জ্বল নিজ বাড়িতে ভুট্টার খড়ি নিতে গেলে খড়ির ভিতরে থাকা একটি সাপ তাকে কামড়ে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

বিবার্তা/সালেকিন/কামরুল