
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বলেশ্বর নদীর পাড়ের বেড়ীবাধের ২ লাখ টাকা মূল্যের ২২টি মেহেগনি ও চম্বল গাছ বিক্রি করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীরা।
উপজেলার ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের কলারন ফেরিঘাট থেকে শ্যামলী নিসর্গ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট পর্যন্ত বেড়ীবাধের দুপাশে এসব গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় কেটে নেওয়া ২২ টি গাছের গোড়া খুজে পাওয়া গেছে।
তারা জানান, চন্ডিপুর বিএনপির সহ- সভাপতি জলিল জোমাদ্দার, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামাল জোমাদ্দার, বিএনপি কর্মী হালিম জোমাদ্দার ও আনিস জোমাদ্দার ব্যাপারীদের কাছে গাছগুলো বিক্রি করেছেন। গাছের বেপারী রাসেল হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন উল্লেখিত বিএনপি নেতারা আমার কাছে ৯টি গাছ বিক্রি করেছেন। তাই আমি গাছগুলো কেটে নিয়েছি। অপরদিকে গাছ কাটার শ্রমিক ইদ্রিস জোমাদ্দার ১১ টি গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জামাল জোমাদ্দার ৬ টি গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, এই গাছগুলো পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির মাধ্যমে আমরা লাগিয়েছি তাই আমরা কেটেছি। বন বিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কাটার কোনো অনুমতি আছে কিনা এবং টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে না পেরে স্থানীয় বিএনপির দুজন সিনিয়র নেতার মাধ্যমে একাধিকবার সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, বেড়ীবাধ ও চরের অনেক গাছ কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করে একটি চক্র।
এবিষয়ে ইন্দুরকানীতে দায়িত্বে থাকা বন-বিভাগের কর্মকর্তা জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আগামিকাল ঘটনাস্থানে পরিদর্শন করে জানাবো।
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জনাব রাশেদ খান জানান, বেড়িবাধের গাছ কাটা সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। আমি এখনই একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বিষয়টি দেখার জন্য পাঠাচ্ছি।
বিবার্তা/শামীম/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]