
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে যানজট সৃষ্টি হয়ে ধীরে ধীরে কাচপুর থেকে কর্নগোপ পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে ছড়িয়ে পড়ে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ও সড়কের পাশে ট্রাক দাঁড় করিয়ে ঘুমানোর কারণে গতকাল রাত থেকে মেঘনা -সাইনবোর্ড পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো কাচপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে এসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকার প্রবেশ মুখে যানজটে আটকা পড়ে। এতে সকাল থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে এই যানজট দীর্ঘ হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাচপুর থেকে কর্নগোপ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
আসলাম ভূঁইয়া ভাই নামে এক যাত্রী বলেন, শিমরাইল মোড় যাওয়ার জন্য ৪০ মিনিট আগে বরপা থেকে বাসে উঠেছি। কিন্তু যানজটে পড়ে এখনো তারাবো বিশ্বরোড পার হতে পারিনি।
ট্রাক চালক মাসুদ রানা বলেন, সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম শহর থেকে মাল বোঝাই করে রওয়ানা দিয়েছি। এতক্ষণে মুড়াপাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা, কিন্তু এখনো কাচপুর যানজটে আটকা রয়েছি।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি এলাকায় একটি দুর্ঘটনার কারণে রাত থেকে মেঘনা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো কাচপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে এসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকার প্রবেশ মুখে যানজটে আটকা পড়ে। এখন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতিও অনেকটা উন্নতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে খানাখন্দের কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে। আবার আগে যাওয়ার জন্য কিছু গাড়ি একেক সাইডে একাধিক লাইন করে ফেলছে। এতেও যানজট দীর্ঘ হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]