
নাটোরের গুরুদাসপুরে দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম ভুম্বুর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বিবাদী আব্দুল করিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে গুরুদাসপুর থানায় বাদী হয়ে ৯জনসহ আরোও অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ভুম্বুর স্ত্রী তানিয়া খাতুন।
অভিযুক্তরা হলেন- সিংড়ার লাছিয়া কান্দি গ্রামের মৃত পরশ উল্লার ছেলে আব্দুল করিম (৪৫), আব্দুল করিমের ছেলে রিপন হোসেন (৩২), আব্দুস সামাদের ছেলেস খাইরুল ইসলাম(৩২), মহিষমারী গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে রশিদ (৩২) ও বাবু (২৬), সাবাগাড়ী বিলহরিবাড়ি গ্রামের আলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৬), মহাতাব হোসেনের ছেলে আতিক (২৮), সাগর হোসেনের ছেলে রিপন (৩০), যোগেনদ্রনগরের ওসমান আলীর ছেলে বদর (২৮)।
অভিযোগসুত্রে জানাযায়- সিংড়া উপজেলার লাছিয়া কান্দি গ্রামের আব্দুল করিম ও তার লোকজন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার যোগেন্দ্রনগর গ্রামে শহিদুল ইসলাম ভুম্বুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেন। এসময় শহিদুল ইসলাম ভুম্বুকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার লুট, মোটর সাইকেল ভাঙচুর ও আরটিআর ৪ভি মোটর সাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এছাড়া তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েকে মারধর করা হয়। শহিদুল ইসলাম দাবি করেন তার প্রায় ২২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।
শহিদুল ইসলাম বলেন, করিম বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় প্রায় গত ৬ মাস পূর্বে একটি পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে গিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছিলেন করিম। সেই মিথ্যা মামলা থেকে জামিন পান ভুম্বু। এরপর থেকে আবার তার কাছে চাঁদা দাবি করেন করিম। মাঝে মাঝে টাকাও দেওয়া হয় করিমকে। গত ২০ আগস্ট বুধবার বিকাশের মাধ্যমে আবার ৮ হাজার টাকা দেওয়া হয় তাকে। পরের দিন করিম আবার ২ লাখ টাকা চাঁদা চায় তার কাছে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে করিম নৌকা ও মোটরসাইকেল যোগে প্রায় ২ শত লোকজন নিয়ে এসে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রায় ২২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল করিম লুটপাটের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শহিদুল ইসলা ভুম্বু একজন মাদক ব্যবসায়ী। আমাদের সিংড়া উপজেলায় সে মাদক ব্যবসা করে। মাদকের কারনে আমাদের যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এলাকায় মাদক বিক্রি নিষেধ করার জন্য তার বাড়িতে যাই। শহিদুলকে না পেয়ে আমরা চলে আসি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসমাউল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবার্তা/জনি/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]