
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পৃথক পৃথক তিনটি সীমান্ত দিয়ে পুরুষ নারী শিশুসহ ১১ বাংলাদেশীকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসফ।
১৬ মে, শুক্রবার গভীর রাতে (রাত ২টা) নীলফামারী ৫৬ বিজেপির আওতাধীন কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তের ৭৭৪ ও ৭৭৫ এলাকা দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়। খবর পেয়ে ডানাকাটা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে এবং শনিবার বিকেলে তাদের বোদা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আটককরা হলেন, নড়াইল জেলার মোছা. নীলুফা (৪০), যশোর জেলার মোছা. সাজিদা (৪০), সাতক্ষীরার মোছা. মর্জিনা (৫০) ও তাসলিমা বেগম, নোয়াখালীর মো. ওমর ফারুক (৩৭), নরসিংদীর মোছা. তানিয়া (৩৫), নারায়ণগঞ্জের মোছা. শাহনাজ (৩৪) ও মীম আক্তার (২২), খুলনার মোছা. আলেয়া বেগম (৭০), মুন্সিগঞ্জের মো. জাহিদুল ইসলাম (৪০) এবং মোঃ ফাইজান শেখ (১০)।
আটকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে, তাদের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষিরা, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায়। কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে তারা ভারতে প্রবেশ করেন বলে বলে জানায় পুলিশ।
তারা আরও জানান, তারা বাংলাদেশী নাগরিক। এছাড়া শিশু ফাইজান শেখের (১০) জন্ম ভারতেই। তার বাবাও বাংলাদেশী এবং সেখানে বিয়ে করে সংসার করছিলেন। তারা দীর্ঘদিন যাবত ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অবস্থান করে তারা কাজ করে আসছিলেন। গত ২ মে তাদেরকে ভারতের বোম্বে থেকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। ১৭ মে পর্যন্ত তাদের পুলিশি হেফাজতে রেখে বিমান যোগে শিলিগুড়ি বিমান বন্দরে পৌঁছে দেয়। ওই দলে ১২৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক ছিলেন বলে তারা জানান। পরে তাদের মধ্য থেকে এই ১১ জনকে পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন।
বিজিবি ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে ওই সীমান্তের মেইন পিলার ৭৭৪ ও ৭৭৫ এলাকার নাউতারী, প্রধান পাড়া ও ধামের ঘাট সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশ করে বিএসএফ। রাতে তারা সীমান্ত এলাকার একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। তবে তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হলে বিএসএফকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ডানা কাটা বিওপির বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। পঞ্চগড়ের ওই সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, রাতে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে এক শিশুসহ ১১ জনকে পুশ ইন করে বিএসএফ। বিকেলে একশিশু, দুইজন পুরুষ ও আট জন নারীকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আইনগত প্রক্রিয়ার শেষে তাদের আদালতে তোলা হবে। ঘটনাটি বিজিবির পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে বলে জানা তিনি।।
বিবার্তা/গোফরান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]