দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে নীলফামারীর ডিমলায় প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সর্বস্তরের মানুষজন।

১০ আগস্ট, শনিবার দুপুরে ডিমলা বিজয় চত্বর হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান মোড় প্রদক্ষিণ শেষে আবার সেখানে সমাবেশে মিলিত হয়।

বৃষ্টি উপেক্ষা করেও বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধনে হাজার-হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন।

এসময় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দসহ চার দফা দাবি জানান।

এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির, প্রতিমা, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়। কোথাও কোথাও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হত্যা করা হয়।দেশত্যাগের হুমকি দেওয়া হয়। বিগত দিনে হওয়া হিন্দু নির্যাতনের কোনও বিচার না হওয়ায় নির্দ্বিধায় এই কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, যে কোনো সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর এমনটা করা হয়। বর্তমানে আমরা রাত জেগে মন্দির, প্রতিমা, বাড়িঘর, পরিবার, পাড়া-মহল্লা পাহারা দিচ্ছি। প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের আতঙ্কে কাটছে। আমরা এ দেশেরই নাগরিক। আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি। তাই আমরা দ্রুত আমাদের নিরাপত্তাসহ এইসব সমস্যার সমাধান চাই।

বিবার্তা/সুজন/এমজে