
চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি ময়ূর-৭ এর কেবিন থেকে চিরকুটসহ প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
২ আগস্ট, শুক্রবার সকালে ওই লঞ্চটি সদরঘাটে নোঙর করার পরে খবর পেয়ে নৌপুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃতরা হলেন- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদের ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং মাদারীপুর জেলার প্রেমিকা রোজিনা আক্তার।
এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের সুপারভাইজর আবু সাইদ জানান, লঞ্চটি সকালে সদরঘাটে নোঙর করার পর ৩১১ নম্বর কেবিন খুলে যাত্রী বের হয়নি। আধাঘণ্টা সময় নিয়ে দরজা আওয়াজ দেয়া হয়। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর নৌপুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে সুরাতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আনোয়ার ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া ইউনিয়নের বোটাল গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির হাফেজ মোহাম্মদের ছেলে। তিনি এক নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেয়।
জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চটি সদর ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর পূর্বে আনোয়ার হোসেন তার প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে সাথে নিয়ে লঞ্চে উঠে। লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেয়। পথিমধ্যে প্রেমিক আনোয়ার হোসেন তার প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজে কেবিনের ফ্যানের সাথে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এর পূর্বে আনোয়ার হোসেন চিরকুট লিখে যায়।
উদ্ধারকৃত চিরকুটে লেখা ছিল, প্রেমিকা রোজিনাকে পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে না নেয়ায় প্রেমিক আনোয়ার আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
সদরঘাট নৌপুলিশ থানার ওসি মো. আবুল কালাম, ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ দুটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইন প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হবে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]