কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটি নিয়ে টালবাহানা চলছে। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল ভুলে যান তাই ১১ মাসে তিনবার কমিটি বাতিল ও নতুন কমিটির তালিকা ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে।
২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ আর হাইস্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১১ ডিসেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল ও সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন কালুকে সভাপতি এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। চার মাস না যেতেই চলতি বছরের ২৬ মার্চ পূবের কমিটি বিলুপ্ত করে অধ্যক্ষ আবু ইউসুফকে সভাপতি ও আবু বক্কর ছিদ্দিক আবুকে সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদন দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল ও সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব।
উভয় কমিটির নেতাকর্মীরা তাদের কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় এবং একপক্ষ অন্য পক্ষকে আক্রমণাত্মক ও ঘৃণ্য শব্দ উচ্চারণ করে গালমন্দ করতেও দেখা যায়। যা সাধারণ মানুষের কাছে হাসি তামাশার খোরাকে পরিণত হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি আবারো আলোচনায়। ২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের অফিসে উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। আলোচনায় বসলেও উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে পূর্বের কমিটি বাতিল ও নতুন কোন কমিটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা করার জন্য একটি কমিটি করেন। কমিটির কোন বৈঠক ছাড়াই সেই রাতেই কোন সমঝোতা ছাড়া লোটাস কামাল ও মুজিবুল হক আরেকটি কমিটি করেন যাতে রফিকুল হোসেনকে আহ্বায়ক ও অধ্যক্ষ সাদেক হোসেন ভূঁইয়াকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। নতুন এই কমিটির তালিকা ৫ নভেম্বর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ভূঁইয়ার ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশ করা হয়। তালিকায় উল্লেখ আছে বিগত ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ও ২৬ মার্চ ২০২৩-এর উভয় কমিটি এবং তাদের গঠিত ইউনিয়ন কমিটিগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে সর্বমহলে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সংসদের হুইপ আবু সাঈদ স্বপন বলেছেন, তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা প্রতারণা করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ বলেন, নতুন কমিটি সম্পর্কে আমার কোনো তথ্য জানা নেই। তবে পূর্বের কমিটি বাতিলের কোনো চিঠি আমি পাইনি।
সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তিনি কোন চিঠি পাননি। ফেসবুকে কমিটির কথা শুনেছেন। যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল ইসলাম পাটোয়ারি বলেন, মন্ত্রী শুনেছি ভুলে যাওয়ার রোগে আক্রান্ত। তাই বারবার এমন করছেন। নাঙ্গলকোটে গত পাঁচ বছরে তিনি পাঁচদিনও যাননি। এই মানুষটির এসব কার্যক্রম থেকে নাঙ্গলকোটবাসীকে নিস্তার দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]